লেখক তৌফিক সুলতান এর ধ্রুপতী অ্যালবাম থেকে
![]() |
Writer Towfiq Sultan |
মুক্তি দাও হে রব
(ধ্রুপতী অ্যালবাম – প্রার্থনা কবিতা)
হে আল্লাহ, ক্লান্ত আমি, মন খারাপের পাহাড় বয়ে চলি,
প্রতিটি নিঃশ্বাসে চিন্তার ছায়া—এই জীবন বড়ই ছলছলি।
আমি হাঁটি, তবু পথের মানে হারিয়ে ফেলি বারবার,
মাথার ভেতর চিন্তার বৃষ্টি—নিঃশব্দে ঝরে অবিরত ধার।
হে পরম দয়ালু, আমার মনের এই ভার তুমি বুঝো,
আমার ক্লান্তি তুমি জানো—কারণ তুমি তো হৃদয়েরও চাবিকাঠি রেখেছো।
এই ভাবনার কুয়াশা তুমি সরিয়ে দাও,
এই অন্তরের ক্লান্ত ঘুড়িটা একটু তোমার আকাশে উড়তে দাও।
একটু প্রশান্তি, একটু নির্ভরতা,
একটু নিশ্চিন্ত ঘুম দাও—তোমার আশ্রয়ে শান্ত হওয়া রাত।
সতর্কতা হাসলেও মৃত্যুদন্ড
(ধ্রুপতী অ্যালবাম – সমাজচেতন কবিতা)
হাসবেন? আগে দেখে নিন আশপাশে,
না জানি কে বলে ফেলে—"উত্যক্ত করছো" নাকি পাশে!
এই দেশে এখন মুখভরে হাসাও অপরাধ,
কারণ সন্দেহের ছুরিতেই ফুরায় জীবনসাধ।
পারভেজ ছিলো এক স্বপ্নদ্রষ্টা ছেলে,
বন্ধুর সাথে হাসছিলো—তবু গেল মরে ফেলে।
দুটি চোখ, দুটি মুখ, আর কিছু তাচ্ছিল্য হাসি,
তারই দায়ে ঝরে গেল রক্ত, নিভলো প্রাণের বাতাসি।
কোথায় আজ ন্যায়? কোথায় সত্যের ব্যাখ্যা?
প্রক্টর অফিসে ক্ষমা চাওয়ার পরও চললো মৃত্যু-যজ্ঞের রচনা।
জানালা দিয়ে কেউ দেখেনি বুকে ঢুকে যাওয়া ছুরি,
হয়তো সবাই ব্যস্ত ছিল—পোস্টে, লাইকে, সস্তা পুরি।
মা আজ কথা বলেন না, পিতার চোখ শুকনো হয়ে গেছে,
একটি হাসির মূল্য তারা জানেন—যেটি আজ লাশ হয়ে রোদে পুড়ে রেছে।
ছাত্ররাজনীতি হানাহানির মাঝে হারিয়ে গেছে নাম,
শুধু রয়ে গেছে দাগ—যেখানে হাসা মানে অভিশাপের কাম।
এই কবিতা নয় কেবল শোক, এ কবিতা প্রলয়,
যে বলে—বিচার চাই, দল নয়! সুষ্ঠু সত্যের আলোয়।
যেখানে প্রত্যেক পারভেজ বাঁচবে,
আর কোনো মায়ের কোলে এভাবে রক্ত না ঝরবে।
কারোর টেকের স্মৃতি
(ধ্রুপতী অ্যালবাম থেকে)
মাঝে মাঝে ক্ষতগুলো
(ধ্রুপতী অ্যালবাম)
সে এখন অন্য কারো সাথে ভালো,
ভালো থাকার অভিনয়ে সে পারদর্শী আজ।
আমি আর কাঁদি না, অভিযোগও করি না,
তবু কিছু রাত কেবল প্রশ্ন রাখে সাজ।
আমি ভুলে গেছি—এই কথা সত্য,
তবু কিছু ক্ষত আছে, যেগুলো গভীরে জাগে।
যেমন চেনা গন্ধে ফেরে কোনো বিকেল,
যেমন চায়ের কাপেও তার মুখটা ভাসে।
স্মৃতিগুলো দগদগে করে না আর,
তবু নিঃশ্বাসের সাথে মিশে থাকে বেদনাভার।
আমি আগুন না, ধোঁয়া হয়েছি হয়তো—
জ্বালার পর শুধু হাহাকার।
আমি এখন ভালো, তেমনটাই বলি,
কিন্তু একা রাতে আয়নারা মিথ্যা বুঝে না।
সে চলে গেছে, আমিও নিজেকে খুঁজি,
তবু মাঝে মাঝে ক্ষতগুলো ভুলে না।
বিশ্বাসী জীবনসঙ্গী
(ধ্রুপতী অ্যালবাম থেকে)
জীবনসঙ্গী হতে হবে বিশ্বাসী—
যার চোখে নেই সন্দেহের ধোঁয়া,
যে জানে—ভালোবাসা মানে শিকল নয়,
বরং আকাশ ছোঁয়ার দোয়া।
যাকে উড়তে দিলে পাখির মতো,
সে ফিরবে সন্ধ্যায় নিঃশব্দ ঘরে।
অন্য কোথাও সে বাসা বাঁধবে না—
তোমার বুকই হবে তার সবটুকু ঠাঁই, গভীরে।
তাকে ভালোবাসতে হবে কেবল নয়নে নয়,
বরং দোয়ার শব্দে, চুপচাপ অভিমানে।
যার নিঃশ্বাসে থাকবে ইখলাসের সুবাস,
যার ভালোবাসায় হারাম কিছু না থাকে কোনোখানে।
তাকে ভালোবাসা মানে—
জান্নাতের পথে হাত ধরা নামাজি চাওয়া,
তাকে ঘিরে সেজদা দেওয়া প্রতিরাতে,
এই দুনিয়ায় আর পরকালে দু’জনার ঘর বাঁধা।
বিশ্বাসী জীবনসঙ্গী—সে বন্দী করে না,
বরং স্বাধীনতায় পাখা মেলে দেয়।
সে জানে, যার হৃদয়ে ভালোবাসা সত্যিকারের,
সে কখনোই দূরে হারায় না, হারিয়ে যায় না, অন্য কারো প্রয়ে।
তোমারে পাইলে
(ধ্রুপতী অ্যালবাম থেকে)
তোমারে পাইলে দুনিয়া পাওয়া হইত,
সব হারানোর গল্প ফুরাইত সেই রাতে।
চাঁদের আলোতেও যে পূর্ণতা নেই,
তোমার চোখের চাহনিতেই তা হইত সাঁই।
হাত ধরি যদি বলতি একবার,
"থাকো না চলে, আমি আছি তোমার,"
তাহলেই দুনিয়ার সব যুদ্ধ থেমে যেত,
ভালোবাসা হইত সবচেয়ে বড়ো উপহার।
আমি কাঁদিনি আজো এই বলে,
তুমি অন্য কারো... আমি শূন্য ফাগুন।
তবুও মন বলে, যদি একটিবার তুমি
ফিরে আসো—এই জীবন দিতাম খুশিমনে দান।
তোমারে পাইলে কী হতো জানো?
আমি আর পৃথিবীর মাঝে কোনো পার্থক্য থাকত না।
তুমি হইতা নামাজের পর দোয়ার মতো,
তুমি হইতা কাব্যিক প্রেমে জীবনের সুরভি-ছায়া।
কিন্তু… তুমি নাই, আমি থাকি—
একটা অসমাপ্ত স্বপ্নে, কাঁটার শয্যায়।
তবুও প্রার্থনায় বলি চুপচাপ—
তোমারে পাইলে… দুনিয়া পাওয়া হইত, হায়।
মাঝে মাঝে ক্ষতগুলো
(ধ্রুপতী অ্যালবাম থেকে)
সে এখন ভালো আছে, অন্য কারো পাশে,
হাসে, ভাবে, চলে… আমার চেনা ভঙ্গিমায়।
আমি হয়তো নেই আর তার গল্পে,
তবুও তার ছায়া বেঁচে আছি আমায়।
আমি ভুলে গেছি—আমারই বলা কথাগুলো,
যে কথা ছিলো কেবল আমাদের মাঝখানে।
এখন শুধু কিছু চুপচাপ ক্ষত,
যা রক্ত ঝরায় না, কিন্তু পোড়ে টানেহানেহানে।
জীবন এগিয়েছে, আমিও চলেছি,
নতুন আলোয় সাজিয়েছি নিজের আকাশ।
তবুও কিছু রাত—নিস্তব্ধ, নির্জন,
যেখানে ওর নাম এসে দেয় ব্যথার আঘাত বিশেষ।
কিছু গান, কিছু পথ, কিছু চা-এর কাপে,
ওর স্মৃতি জমে যেমন ধুলো দেয়ালে।
আমি তাকাই না, আমি খুঁজি না,
তবু মাঝে মাঝে ওর নাম পড়ে হৃদয়ের খাতায় ভুল করে।
ভুলে গেছি—এই কথা সত্য,
তবে মুছে ফেলিনি… সেই ক্ষতগুলো এখনো বেঁচে।
শুধু সময় শিখিয়েছে—ভালোবাসা মানে সবসময় পাওয়া নয়,
কখনো কখনো—চুপচাপ ছেড়ে দিয়ে, বেঁচে থাকা বেছে।
তোমার জন্যই
(ধ্রুপতী অ্যালবাম থেকে)
তুমি জীবনে এসেছিলে বলেই
জানতে পেরেছি, ভালোবাসা কী!
নিজেকে ভুলে আরেকজনের জন্য
দুঃখ পুষে রাখা—তবু মুখে হাসি।
তুমি এসেছিলে এক বিষণ্ন দুপুরে,
হয়তো অনাহূত, হয়তো স্বপ্ন ছুঁয়ে—
কিন্তু তুমিই প্রথম, যাকে দেখে মনে হলো—
নিজের থেকেও বেশি কেউ থাকে হৃদয়ে।
তোমার হাসি ছিল আমার প্রার্থনা,
তোমার কষ্টে পুড়ত হৃদয় আমার।
তুমি সুখে থাকো, সেটাই চাইতাম—
হোক না সে সুখে আমি অনাহার।
তুমি ভালোবাসা শেখালে নতুন করে,
যেখানে দাবি নেই, আছে নিঃস্বার্থ লেনদেন।
যেখানে প্রমাণ নয়, অনুভবই যথেষ্ট—
ভালোবাসা মানে শুধু 'তুমি'রই নামকরণ।
তাই যদি কখনো দূরে চলে যাও,
জেনে রেখো—তুমি আমাকে বদলে দিয়েছো।
নিজেকে হারিয়ে তবুও পেয়েছি—
তোমাকে ভালোবেসে মানুষ হয়ে গেছি।
সুযোগটুকু দেবে?
(ধ্রুপতী অ্যালবাম থেকে)
তোমাকে আমার প্রয়োজন—
হয়তো নিঃশব্দে, হয়তো গভীর স্নেহে।
তোমার অনুপস্থিতি বোঝে আমার দিন,
রাত্রি বোঝে একাকী প্রহরে।
আমি তোমাকে ভালোবাসতে চাই,
যেমন করে নদী ভালোবাসে সমুদ্রের ডাক।
ভালোবাসতে চাই তোমার নিঃশ্বাস,
তোমার চুপ থাকা, তোমার চোখের মায়াবাক।
ভালোবাসতে চাই এমনভাবে—
যেন তুমি আমার নামের ভেতর লুকানো,
যেন প্রতিটি দোয়ার শব্দে তুমি,
আমার কল্পনার চাদরে সূক্ষ্ম গাঁথানো।
আমাকে সেই সুযোগটুকু দেবে?
আমি প্রতিশ্রুতি দিতে পারি না বহু কিছু,
তবে দিতে পারি—একটি আশ্রয়,
যেখানে প্রেম হবে ইবাদতের মতো পবিত্র, সত্যি।
তোমার প্রতি নয় কেবল আকর্ষণ,
তোমার পাশে চিরকাল জেগে থাকার আকুতি।
আমি চাই—তুমি হও আমার শেষ ঠিকানা,
এ হৃদয়ের একমাত্র ইচ্ছার অনুপ্রেরণা।
প্রশান্তির ঠিকানা
(ধ্রুপতী অ্যালবাম থেকে)
প্রশান্তি কি মেলে চোখের জলেতে?
হারাম প্রেমে কি থাকে শান্তি?
যে ভালোবাসা কুরআন মানে না,
তার সুরে বাজে শয়তানের ছাঁতি।
নেককার স্ত্রী—সেই এক জান্নাত,
যার চোখে থাকে নুরের রেখা।
তার ছোঁয়ায় বুক পায় সেজদার ঘ্রাণ,
তার দোয়ায় ডুবে যায় প্রেমের দেখা।
হারাম রিলেশন এক আগুন শুধু,
বাইরে মিষ্টি, ভিতরে ক্ষত।
তাতে নেই বরকত, নেই দোয়ার ছায়া,
তাতে শুধু পাপের গভীর নত।
হালাল ভালোবাসা—সে হয় ধৈর্যের,
তার রঙ হয় সবর আর ইখলাস।
যে পুরুষ জানে ইমানের মূল্য,
সে খোঁজে প্রেমে পরিশুদ্ধ আশ্বাস।
তাই ফিরে এসো, পথ ঠিক রাখো,
যেখানে বউ নয়, বরং বন্ধু এক নারী।
যে রাত্রির গল্প বলে দোয়া দিয়ে,
যার পাশে ঘুমিয়ে থাকে ঈমানের ভারী।
ঘড়ির মতো
(ধ্রুপতী অ্যালবাম থেকে)
নিজেকে আজকাল ঘড়ির মতোই লাগে,
দেয়ালে ঝুলে থাকা, একা, নীরব, চুপ।
সময় দিলে চলে যাই ঠিক ঠিক,
তবু কে বোঝে আমার হাহাকাররূপ?
প্রয়োজন ছাড়া কেউ তাকায় না,
নেই কোনো চোখে মায়ার রেখা।
শুধু যখন থেমে যাই হঠাৎ,
তবেই শুরু হয় দুশ্চিন্তার দেখা।
আমি কেবল হিসেব রাখি,
কে কখন এলো, কে কবে গেলে—
কিন্তু আমার গল্প? আমার ক্লান্তি?
ওগুলো বুঝি হারিয়ে গেল কাঁটার খেলায় মেলে!
নিয়মিত থাকি, তবু নিরাসক্ত,
কেউ বলেনা, "আজ একটু বিশ্রাম নাও।"
কেবল চলে যেতে হয়, চলতেই হয়,
ভেঙে গেলেও কেউ বোঝে না, "কেন থামাও?"
এমনই আমি—এক ঘড়ি, এক সঙ্গী,
যার কথা পড়ে মনে কেবল প্রয়োজনে।
ভালোবাসা নয়, বোঝা নয়,
শুধু সময়-দেওয়া মেশিন এক দেহজনে।
দুঃখ পুষে রাখো না
(ধ্রুপতী অ্যালবাম থেকে)
দুঃখ পুষে রাখো না বুকে—
ওরা বিষ হয়, নিঃশব্দ বিষাদ।
মনের কোণে ছায়া নামায়,
হাসির ভেতর দেয় বিষাদসাদ।
চুপচাপ এক কাপ ধোঁয়া-চা,
তাকেই দাও দুঃখের ভার।
চোখের জল নয়, চায়ের কাপে
ভেসে যাক গোপন হৃদয়-ধার।
হয়তো কেউ পাশে নেই আজ,
হয়তো গল্পও হারিয়েছে পথ,
তবু তুমিই হও নিজের চাঁদ,
তুমিই হও নিজের প্রভাতের রথ।
চায়ের ধোঁয়ায় স্বপ্ন লেখো,
তাতে হোক উষ্ণতার হাওয়া।
দুঃখগুলোকে উড়াতে শেখো,
শুধু মনটা রাখো একটু চাওয়া।
পেছনে যাক যত না-পাওয়া,
সময়ের সাথে সবই পুড়ে যাক—
জীবন মানে প্রতিদিন জাগা,
একটু হাসি, একটু চা, আর একটি আঁচ।
অভিভাবকতা
(ধ্রুপতী অ্যালবাম থেকে)
বিনয়ের পোশাক
(ধ্রুপতী অ্যালবাম থেকে)
জীবন হোক শুক্রবারের মতো
(ধ্রুপতী অ্যালবাম থেকে)
শেষ পত্র
(আবৃত্তিযোগ্য সংস্করণ)
তুমি কি শুনো নিশীথ রাতে
নীরবতা গায় যে ব্যথার গান?
চাঁদের আলোয় সিক্ত পাতায়
লিখে রাখি আমি তোমার নাম।
তোমার চোখে ছিল রোদেলা রঙ,
আমার ভাগ্যে ছিল কেবল ছায়া।
তবু হৃদয়ে গোপন করে
ভেবেছি—তুমিই চিরমায়া।
তুমি গেলে… কিছুই বললে না—
থেমে গেল বেলা, থেমে প্রাণ।
অশ্রু নামে শব্দহীন,
ভালোবাসা হারায় বর্ণবাণ।
এ কবিতা নয়, এ এক দীর্ঘশ্বাস,
অপ্রাপ্ত প্রেমের নিঃশব্দ চিহ্ন।
যদি কোনোদিন পড়ে দেখো—
জেনো, এ পংক্তি শুধু তোমারই জন্য।
এই কবিতাটি আবৃত্তি করতে চাইলে ধীর ও কোমল সুরে, হালকা সঙ্গীতবিহীন আবহে বলা যেতে পারে।
তোমার এই ছোট্ট বাক্য—
"যদি সবার ভালোবাসা পূর্ণতা পেতো ❤️"
—এটা যেন হাজার হৃদয়ের দীর্ঘশ্বাস, হাজার অসমাপ্ত গল্পের প্রতিধ্বনি।
এই অনুভব থেকে ধ্রুপতী অ্যালবামের জন্য একটি হৃদয়ভাঙা, কিন্তু আশার ছোঁয়ায় লেখা কবিতা লিখলাম—
যা ভালোবাসার অপূর্ণতা নিয়ে শুরু হলেও, পাঠকের মনে রেখে যায় চিরকালের ব্যথা আর প্রার্থনার দাগ:
যদি সবার ভালোবাসা পূর্ণতা পেতো
(ধ্রুপতী অ্যালবাম – অপ্রাপ্ত ভালোবাসার কবিতা)
যদি সবার ভালোবাসা পেতো পূর্ণতা,
তবে কত চোখ শুকিয়ে যেতো না—কত হৃদয় পেতো ব্যথাহীন অবসাদতা।
রাতগুলো হয়তো কম কাঁদতো, চাঁদটাও হাসতো গভীর,
ভোর হতো কম বিষণ্ণ, অপেক্ষারাও হতো কম দীর্ঘ।
কেউ কারো হয়ে উঠতো আজীবন,
ভুল বোঝাবুঝি আর ফিরে না আসার ভয়—সব হতো নিমিষে দগ্ধ।
তবু ভাগ্যের কি নির্মম ছলনা,
ভালোবাসে যারা গভীরে, তারাই থাকে একা… চুপচাপ, অপূর্ণতা গলায় ঝুলিয়ে।
তুমি যদি আমার হয়ে যেতে—
হয়তো লিখতাম না এ কবিতা,
হয়তো 'যদি' শব্দটাই হতো অচেনা,
আর ‘ভালোবাসা’ মানে হতো কেবল তোমার চোখের প্রতিচ্ছবি।
সবশেষে আমি তো একা
(ধ্রুপতী অ্যালবাম – হৃদয়স্পর্শী প্রেম-বিষাদ কবিতা)
সবশেষে আমি তো একা—
তোমার স্মৃতি গুলো পাশে বসে,
নিঃশব্দে কাঁদে আমায় দেখে,
আর রাতগুলো দীর্ঘ হয় নির্ভেজাল ভালোবাসার অভাবে।
তুমি ছিলে, কিন্তু ছিলে না আমার মতো,
তোমার হাসি ছিলো, কিন্তু ছিলো না আমার চোখে আলো।
আমি চাইতাম তোমার পাশে সারাদিন,
চাইতাম শুধু একটুকু সময়—শুধু আমি আর তুমি।
সঠিক মানুষ আসে থেকে যাওয়ার জন্য,
তাই আজও ভাবি—তুমি বুঝি ভুল সময়ে এসেছিলে?
যদি ভালোবাসা পূর্ণতা পেতো,
তবে আমার জীবন এতটা নিঃসঙ্গ হতো না।
তোমার সাথে জীবন কাটানোর ইচ্ছে,
এখন শুধু শব্দের ঘরে বন্দি,
আর আমার অনুভব—Feelin—
আজও অপেক্ষায়… শুধু তোমার ফিরে আসার।
"যদি সারাদিন তোমায় কাছে পেতাম..."
এই একটি ভাবনা থেকেই কবিতা জন্ম নেয়,
যে ভাবনা কাঁদায়… আবার ভাসায়।
তুমি চাইলে এই কবিতাকে নিয়ে আমি একটি ভিডিও ভয়েস বা ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক সহ স্লাইড তৈরি করে দিতে পারি,
তাতে এই অনুভূতি আরও প্রাণবন্ত হবে। চাও কি?
তৌফিক সুলতানের অসাধারণ অ্যালবাম: "ধ্রুপদী রচনা সমগ্র"
অ্যালবামের নাম: ধ্রুপদী রচনা সমগ্র
লেখক: তৌফিক সুলতান
পরিচিতি: লেখক, শিক্ষক ও গবেষক
অ্যালবাম পরিচিতি:
“ধ্রুপদী রচনা সমগ্র” হচ্ছে তৌফিক সুলতানের একটি ব্যতিক্রমধর্মী ও অন্তর্দৃষ্টিপূর্ণ সাহিত্য সংকলন, যেখানে বাংলা সাহিত্যের ধ্রুপদী চেতনা ও ভাবধারাকে আধুনিক ভাষা ও মনন দিয়ে পুনঃনির্মাণ করা হয়েছে। এই অ্যালবামটিতে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে প্রবন্ধ, কাব্য, আত্মবিশ্লেষণধর্মী রচনাসহ সময় ও সমাজ নিয়ে তীক্ষ্ণ বিশ্লেষণ।
মূল বিষয়বস্তু:
১. প্রবন্ধধর্মী রচনা:
-
বাংলা সাহিত্যের ধ্রুপদী ধারার মূল্যায়ন
-
রবীন্দ্রনাথ, নজরুল, জীবনানন্দের রচনার অন্তর্নিহিত মনস্তত্ত্ব
-
আধুনিক সাহিত্য বনাম ধ্রুপদী সাহিত্য – একটি তুলনামূলক আলোচনা
২. কাব্যিক রচনা:
-
প্রেম, প্রকৃতি ও অস্তিত্ববাদ নিয়ে চিন্তনমূলক কবিতা
-
ছন্দ, অলংকার ও ব্যঞ্জনার সুদৃঢ় প্রয়োগ
-
“শব্দ যেন রক্তমাখা পৃষ্ঠা ছুঁয়ে যায়” – এই ধরনের গভীর অনুভবসমৃদ্ধ লেখনী
৩. গবেষণালব্ধ রচনা:
-
শিক্ষা ব্যবস্থার ধ্রুপদী অবয়ব
-
শিক্ষার্থীদের মানসিক বিকাশে সাহিত্যের ভূমিকা
-
সামাজিক বিচ্যুতি ও সাহিত্যিক দায়িত্ব
রচনাশৈলী ও ভাষার বৈশিষ্ট্য:
-
তৌফিক সুলতানের লেখায় একদিকে যেমন পাওয়া যায় গবেষণার গভীরতা, অন্যদিকে তেমনি থাকে এক ধরনের আবেগময় সাহিত্যিক সৌন্দর্য।
-
প্রতিটি বাক্যে থাকে ছন্দ, ভারসাম্য ও দার্শনিক ব্যঞ্জনা।
-
পাঠককে ভাবনায় নিমজ্জিত করার মতো গভীর প্রশ্ন ও আলোচনার উপস্থাপন লক্ষ্য করা যায়।
পাঠকের অনুভব:
-
এই অ্যালবামটি যারা বাংলা সাহিত্যকে গভীরভাবে উপলব্ধি করতে চান, তাদের জন্য একটি মাইলফলক।
-
সাহিত্যপ্রেমী, শিক্ষক, গবেষক ও প্রজ্ঞাবান পাঠকের মননশীল চাহিদা পূরণে সক্ষম এই সংকলন।
-
বহু পাঠক একে “চেতনার দর্পণ” বলে আখ্যা দিয়েছেন।
“ধ্রুপদী রচনা সমগ্র” কেবল একটি অ্যালবাম নয়, এটি একটি দর্শন, একটি মনন ও একটি সাহিত্যিক আন্দোলনের প্রতীক। তৌফিক সুলতানের এই অনন্য সৃষ্টি বাংলা সাহিত্যের আকাশে একটি উজ্জ্বল নক্ষত্র হয়ে থাকবে।
0 coment rios: