জীববিজ্ঞান লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
জীববিজ্ঞান লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

বুধবার, ১২ মার্চ, ২০২৫

জীববিজ্ঞান প্রশ্ন উত্তর ০৩১৩২৫

জীববিজ্ঞান প্রশ্ন উত্তর ০৩১৩২৫

☞ কচুরিপানা পানিতে ভাসে কেন?

কচুরিপানা (Water Hyacinth) একটি জলজ উদ্ভিদ, যা সহজেই পানিতে ভাসতে পারে। এটি মূলত এর দেহকাঠামো ও ভৌত বৈশিষ্ট্যের কারণে পানিতে ভাসতে সক্ষম। নিচে এর কারণ ব্যাখ্যা করা হলো—

ওয়েলফশন



১. কচুরিপানার কান্ডে বিশেষ রকমের বায়ুকুঠুরি (Aerenchyma) থাকে

  • কচুরিপানার ফুলকন্দ (Petiole) বা কান্ড ফোলা এবং স্পঞ্জের মতো হয়
  • এর ভেতরে বায়ুকুঠুরি (Aerenchyma tissue) থাকে, যা বাতাসে পূর্ণ ছোট ছোট ফাঁপা কোষের স্তর তৈরি করে।
  • এই বায়ুকুঠুরি পানির ঘনত্বের তুলনায় কম ঘনত্বের হওয়ায় উদ্ভিদকে পানিতে ভেসে থাকতে সাহায্য করে।

২. হালকা ওজন এবং সেলুলোজযুক্ত কাঠামো

  • কচুরিপানার কান্ড ও পাতা তুলনামূলকভাবে হালকা ওজনের ও কোষ প্রাচীর পাতলা
  • এর দেহের অনেকাংশে সেলুলোজ ও বাতাসের উপস্থিতি একে পানিতে ভাসতে সাহায্য করে।

৩. শিকড় মাটিতে দৃঢ়ভাবে আটকায় না

  • কচুরিপানার শিকড় মাটির গভীরে প্রবেশ করে না, বরং পানির উপরের স্তরে ঝুলন্ত অবস্থায় থাকে।
  • এই কারণে এটি সহজেই এক স্থান থেকে অন্য স্থানে ভেসে যেতে পারে।

৪. পানির চাপের বিপরীতে ভারসাম্য রক্ষা করা

  • কচুরিপানার দেহে হালকা ওজনের কাঠামো ও বায়ুকুঠুরির কারণে এটি পানির ওপরে থাকে এবং অধিকাংশ অংশ পানির নিচে ডুবে যায় না
  • এটি পৃষ্ঠটান (Surface tension)আভ্যন্তরীণ গঠন কাজে লাগিয়ে পানিতে ভারসাম্য বজায় রাখে।

কচুরিপানা মূলত বায়ুকুঠুরি, হালকা কাঠামো, শিকড়ের গঠন ও পানির চাপের ভারসাম্যের কারণে পানিতে ভাসতে সক্ষম। এর ভাসমান প্রকৃতি একে দ্রুত বিস্তার করতে সাহায্য করে, যার ফলে এটি অনেক সময় জলাশয়ে সমস্যা সৃষ্টি করে।


☞ লাইসোজোমকে জীবাণু ভক্ষণ বলা হয় কেন?

লাইসোজোমকে "জীবাণু ভক্ষণ" বা "সেলুলার ডাইজেস্টিভ সিস্টেম" বলা হয় কারণ এটি কোষের অভ্যন্তরে বিভিন্ন বিপজ্জনক উপাদান, জীবাণু ও অপ্রয়োজনীয় কোষীয় বস্তু হজম ও ধ্বংস করে। এর প্রধান কাজ হলো এনজাইমের মাধ্যমে কোষের বর্জ্য ও ক্ষতিকর পদার্থ ভাঙন ও পরিশোধন করা


লাইসোজোমের জীবাণু ভক্ষণ ক্ষমতা ব্যাখ্যা

১. শক্তিশালী হাইড্রোলাইটিক এনজাইমের উপস্থিতি

লাইসোজোমে প্রায় ৫০টির বেশি হাইড্রোলাইটিক এনজাইম থাকে, যেমন—

  • প্রোটেজ (প্রোটিন ভাঙে)
  • লিপেজ (লিপিড বা চর্বি ভাঙে)
  • নিউক্লিয়েজ (ডিএনএ ও আরএনএ ভাঙে)
  • গ্লাইকোসিডেজ (কার্বোহাইড্রেট ভাঙে)

এই এনজাইমগুলো নিম্ন pH (4.5-5) পরিবেশে সক্রিয় থাকে, যা বিভিন্ন অনুজীব ও বর্জ্যকে দ্রুত ভেঙে ফেলে।


২. ফ্যাগোসাইটোসিসের মাধ্যমে জীবাণু ধ্বংস

কোষের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় লাইসোজোম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে ফ্যাগোসাইটোসিসের (Phagocytosis) মাধ্যমে।
ধাপে ধাপে প্রক্রিয়া:

  1. কোষের প্রতিরক্ষা কোষ (যেমন, ম্যাক্রোফাজ) ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাসকে গিলে ফেলে।
  2. এটি লাইসোজোমের সঙ্গে মিশে যায় এবং বিশেষ এনজাইম ক্ষরণ করে।
  3. এনজাইম জীবাণুর কোষপ্রাচীর ও প্রোটিন ভেঙে ধ্বংস করে
  4. ধ্বংসাবশেষ এক্সোসাইটোসিসের মাধ্যমে কোষের বাইরে বের করে দেওয়া হয়।

৩. অপ্রয়োজনীয় ও ক্ষতিগ্রস্ত কোষের অপসারণ (অটোফেজি)

লাইসোজোম শুধু জীবাণু ধ্বংস করে না, এটি অটোফেজি (Autophagy) প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কোষের ক্ষতিগ্রস্ত অঙ্গাণু ও অপ্রয়োজনীয় প্রোটিন গলিয়ে ফেলে।
✔ উদাহরণ: বার্ধক্যজনিত কোষ ও বিকলাঙ্গ মাইটোকন্ড্রিয়া ধ্বংস করা।


৪. কোষের আত্মহত্যা (অপোপটোসিস বা Autolysis)

কখনও কখনও লাইসোজোম নিজের এনজাইম নিঃসরণ করে কোষকে ধ্বংস করে (Autolysis), যা নিয়ন্ত্রিত কোষ মৃত্যু বা Apoptosis নামে পরিচিত।
✔ উদাহরণ: ভ্রূণের বিকাশের সময় আঙুলের মধ্যবর্তী ঝিল্লির কোষ ধ্বংস হয়ে আঙুলের গঠন তৈরি হয়।

লাইসোজোম কোষের অভ্যন্তরীণ পরিস্কারক ও প্রতিরক্ষাব্যবস্থা হিসেবে কাজ করে। এটি জীবাণু, ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস, কোষের ক্ষতিকারক বস্তু ও কোষের নিজস্ব বর্জ্য হজম করে ধ্বংস করে। এই কারণে একে "জীবাণু ভক্ষণ" বলা হয়।


☞ বংশগতির ধারাবাহিকতা বজায় রাখার ক্ষেত্রে মিয়োসিসের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। এর প্রধান ভূমিকা নিচে দেওয়া হলো—

  1. অর্ধসংখ্যাপী (হ্যাপলয়েড) গ্যামেট তৈরি: মিয়োসিস কোষ বিভাজনের মাধ্যমে ডিপ্লয়েড (2n) কোষ থেকে হ্যাপলয়েড (n) গ্যামেট (যেমন, শুক্রাণু ও ডিম্বাণু) তৈরি হয়। ফলে যৌন জননের সময় যখন দুটি গ্যামেট সংযোজিত হয়, তখন নতুন জীব ডিপ্লয়েড সংখ্যক ক্রোমোসোম পায়, যা বংশগতির ধারাবাহিকতা নিশ্চিত করে।

  2. জিনগত বৈচিত্র্য সৃষ্টি: মিয়োসিসের "ক্রসিং ওভার" (Prophase I ধাপে) এবং "স্বাধীন বিভাজন" (Independent Assortment) প্রক্রিয়ার ফলে ক্রোমোসোমের বিন্যাস পরিবর্তিত হয়। এর ফলে নতুন জীবের মধ্যে বংশগত বৈচিত্র্য আসে, যা প্রাকৃতিক নির্বাচনে সহায়তা করে।

  3. ক্রোমোসোম সংখ্যা স্থিতিশীল রাখা: যদি মিয়োসিস না হতো, তাহলে প্রতিটি প্রজন্মে ক্রোমোসোম সংখ্যা দ্বিগুণ হয়ে যেত, যা জীবের স্বাভাবিক বিকাশ ব্যাহত করত। মিয়োসিস প্রতিটি প্রজন্মে নির্দিষ্ট সংখ্যক ক্রোমোসোম বজায় রাখতে সহায়তা করে।


মিয়োসিস শুধুমাত্র জনন প্রক্রিয়াকে সহায়তা করে না, এটি জীববৈচিত্র্য সৃষ্টি ও প্রজন্মের মধ্যে জিনগত স্থিতিশীলতা বজায় রাখতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

  • কচুরিপানা: পানিতে ভাসছে এবং এর বায়ুকুঠুরি দৃশ্যমান।
  • লাইসোজোম: কোষের অভ্যন্তরে জীবাণু হজম করছে।
  • মিয়োসিস: কোষ বিভাজনের ধাপ চিত্রিত করা হয়েছে।


  • ১. কচুরিপানা পানিতে ভাসে কেন?

    কচুরিপানা পানিতে ভাসতে পারে এর দেহের বিশেষ গঠনের কারণে। এর প্রধান কারণগুলো হলো—

    • বায়ুকুঠুরি (Aerenchyma Tissue): কচুরিপানার কান্ডে ফাঁপা বাতাসপূর্ণ কোষ থাকে, যা একে পানিতে ভাসতে সাহায্য করে।
    • হালকা ওজনের কাঠামো: পাতলা কোষপ্রাচীর ও স্পঞ্জের মতো কান্ড একে হালকা রাখে।
    • শিকড়ের গঠন: শিকড় মাটির সঙ্গে শক্তভাবে আটকায় না, ফলে এটি সহজেই ভেসে থাকে।

    ২. লাইসোজোমকে জীবাণু ভক্ষণ বলা হয় কেন?

    লাইসোজোমকে "জীবাণু ভক্ষণ" বলা হয় কারণ এটি কোষের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ও বর্জ্য অপসারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে

    • ফ্যাগোসাইটোসিস: ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাসকে গ্রাস করে এবং এনজাইম দিয়ে ধ্বংস করে।
    • অটোফেজি: কোষের পুরোনো ও ক্ষতিগ্রস্ত অংশ গলিয়ে ফেলে।
    • অপোপটোসিস: কোষের প্রয়োজন অনুযায়ী আত্মহত্যার মাধ্যমে কোষ অপসারণ করে।

    ৩. বংশগতির ধারাবাহিকতা বজায় রাখার জন্য মিয়োসিসের ভূমিকা (সংক্ষিপ্ত)

    • গ্যামেট উৎপাদন: মিয়োসিস ডিপ্লয়েড (2n) কোষ থেকে হ্যাপলয়েড (n) গ্যামেট তৈরি করে, যা যৌন জননের জন্য প্রয়োজন।
    • জিনগত বৈচিত্র্য: ক্রসিং ওভার ও স্বাধীন ক্রোমোসোম বিভাজনের ফলে নতুন বৈশিষ্ট্য সৃষ্টি হয়।
    • ক্রোমোসোম সংখ্যা স্থিতিশীল রাখা: প্রতিটি প্রজন্মে নির্দিষ্ট সংখ্যক ক্রোমোসোম বজায় রাখে, যাতে সংখ্যা দ্বিগুণ না হয়।

    এইভাবে মিয়োসিস বংশগতির ধারাবাহিকতা রক্ষা করে।














    Welftion Love Of Welfare
     দৈনিক অনুসন্ধান

    Welftion Love Of Welfare : প্রিয় সুহৃদ,  নতুন প্রজন্মের আগ্রহী লেখকদের প্রতি অনুরোধ, আমাদের কাছে লেখা পাঠিয়ে দুই সপ্তাহ থেকে তিন মাস অপেক্ষা করুন। একই লেখা একাধিক জায়গায় পাঠানো হলে কিংবা প্রকাশিত হলে আমরা সেই লেখককে আর গ্রহণ না করতে বাধ্য হবো। আপনার লেখা / ছবি / মতামত / অভিযোগ পাঠান ~ ✉ towfiqsultan.help@gmail.com ,
    editorial.tds@outlook.com , editorial.tdse@gmail.com 
    দৈনিক অনুসন্ধান শেরে বাংলা নগর, ঢাকা, বাংলাদেশ



     📢 দৃষ্টি আকর্ষণ লেখা পাঠান~ ✉ editorial.tds@outlook.com , editorial.tdse@gmail.com towfiqsultan.help@gmail.com
    DA





      DA
    লেখা পাঠান~ ✉ editorial.tds@outlook.com , editorial.tdse@gmail.com towfiqsultan.help@gmail.com 
     
    আপনার লেখা / ছবি / মতামত / অভিযোগ পাঠান ~ ✉ towfiqsultan.help@gmail.com , editorial.tds@outlook.com , editorial.tdse@gmail.com দৈনিক অনুসন্ধান শেরে বাংলা নগর, ঢাকা, বাংলাদেশ। সংবাদ দৈনিক অনুসন্ধান - ওয়েল্ফশন নিউজ আপডেট - Welftion Welfare Educational Leaders Friendly Trusted Investigation Organization Network. সত্যের সন্ধানে বলিষ্ঠ, সত্য প্রকাশে নির্ভীক... নবীন- প্রবীন লেখীয়োদের প্রতি আহ্বান: সাহিত্য সুহৃদ মানুষের কাছে ছড়া, কবিতা, গল্প, ছোট গল্প, রম্য রচনা সহ সাহিত্য নির্ভর আপনার যেকোন লেখা পৌঁছে দিতে আমাদেরকে ই-মেইল করুন- editorial.tdse@gmail.com লেখার সাথে আপনার নাম ঠিকানা, যোগাযোগ নাম্বার যুক্ত করে দিয়েন- সম্ভব হলে নিজের ছবি + লেখার সাথে মানানসই ছবি। ইংরেজি লেখা পাঠাতে ও এই ই-মেইল টি ব্যাবহার করতে পারেন। ✉️ই-মেইল: editorial.tdse@gmail.com - ধন্যবাদ 📧 towfiqsultan.help@gmail.com

    শুক্রবার, ৭ মার্চ, ২০২৫

    মাইটোকন্ড্রিয়া, প্লাস্টিড, নিউক্লিয়াস, নিউরন, পেশি টিস্যু এবং কোষ প্রাচীরের গুরুত্ব ও কার্যাবলী

    মাইটোকন্ড্রিয়া, প্লাস্টিড, নিউক্লিয়াস, নিউরন, পেশি টিস্যু এবং কোষ প্রাচীরের গুরুত্ব ও কার্যাবলী

    🔬 জীববিজ্ঞানের গুরুত্বপূর্ণ উপাদানসমূহ মাইটোকন্ড্রিয়া, প্লাস্টিড, নিউক্লিয়াস, নিউরন, পেশি টিস্যু ও কোষ প্রাচীর


    দৈনিক অনুসন্ধান নিউজ পোর্টাল 


    প্রত্যেকটি জীবদেহ অসংখ্য ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কোষ দ্বারা গঠিত, আর এই কোষের মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ উপাদান যা জীবনের স্বাভাবিক কার্যক্রম পরিচালনা করে। আসুন, আমরা মাইটোকন্ড্রিয়া, প্লাস্টিড, নিউক্লিয়াস, নিউরন, পেশি টিস্যু এবং কোষ প্রাচীরের গুরুত্ব ও কার্যাবলী সম্পর্কে বিস্তারিত জানি।


    🔹 মাইটোকন্ড্রিয়া – কোষের পাওয়ার হাউস

    মাইটোকন্ড্রিয়াকে "কোষের শক্তিকেন্দ্র" বলা হয় কারণ এটি খাদ্য থেকে শক্তি উৎপন্ন করে, যা আমাদের বেঁচে থাকার জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।

    📌 প্রধান কাজ:

    শক্তি উৎপাদন: এটি অ্যাডেনোসিন ট্রাইফসফেট (ATP) তৈরি করে, যা কোষের শক্তির উৎস।
    শ্বসন প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ: কোষীয় শ্বসনের মাধ্যমে গ্লুকোজ ভেঙে শক্তি উৎপাদন করে।
    কোষ বিভাজনে সাহায্য: মাইটোকন্ড্রিয়া নতুন কোষ তৈরিতে ভূমিকা রাখে।
    ডিএনএ বহন করে: এতে নিজস্ব ডিএনএ থাকে, যার মাধ্যমে এটি নিজেই বিভাজিত হতে পারে।

    📌 যেসব কোষে মাইটোকন্ড্রিয়ার সংখ্যা বেশি: হৃৎপিণ্ড, যকৃৎ, পেশি কোষ, এবং মস্তিষ্ক কোষ।


    🔹 প্লাস্টিড – উদ্ভিদের প্রাণশক্তি কেন্দ্র

    শুধুমাত্র উদ্ভিদ ও শৈবালে (algae) প্লাস্টিড পাওয়া যায়, যা উদ্ভিদের বিভিন্ন রঙ ও কার্যাবলির জন্য দায়ী।

    📌 প্লাস্টিডের ধরণ ও কাজ:

    1️⃣ ক্লোরোপ্লাস্ট:
    সবুজ রঙের জন্য দায়ী: এতে ক্লোরোফিল নামক রঞ্জক থাকে।
    সালোকসংশ্লেষণের কাজ করে: এটি সূর্যালোককে ব্যবহার করে খাদ্য (গ্লুকোজ) তৈরি করে।
    পরিবেশের অক্সিজেন সরবরাহ: এটি অক্সিজেন উৎপাদন করে, যা আমরা শ্বাস নেওয়ার জন্য প্রয়োজন।

    2️⃣ ক্রোমোপ্লাস্ট:
    ফুল ও ফলের রঙ প্রদান করে: এতে লাল, হলুদ, কমলা রঙের রঞ্জক থাকে।
    পরাগায়ন ও বীজ বিস্তারে সাহায্য করে।

    3️⃣ লিউকোপ্লাস্ট:
    শ্বেত বর্ণের ও রঞ্জকবিহীন প্লাস্টিড।
    শর্করা, প্রোটিন ও তেল সংরক্ষণ করে।


    🔹 নিউক্লিয়াস – কোষের নিয়ন্ত্রণকেন্দ্র

    নিউক্লিয়াস হল কোষের "নিয়ন্ত্রক কেন্দ্র", যা সমস্ত জৈবিক কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করে। এটি সকল প্রাণীকোষ এবং উদ্ভিদের অধিকাংশ কোষে পাওয়া যায়।

    📌 নিউক্লিয়াসের প্রধান কাজ:

    জেনেটিক তথ্য সংরক্ষণ: এতে ডিএনএ থাকে, যা বংশগত বৈশিষ্ট্য নিয়ন্ত্রণ করে।
    কোষ বিভাজন ও বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ: এটি মাইটোসিস ও মিয়োসিসের মাধ্যমে নতুন কোষ তৈরি করে।
    প্রোটিন সংশ্লেষণ: আরএনএ তৈরি করে, যা প্রোটিন উৎপাদনে সাহায্য করে।

    📌 বৈশিষ্ট্য: নিউক্লিয়াস সাধারণত কোষের কেন্দ্রে থাকে এবং এর চারপাশে নিউক্লিয়ার মেমব্রেন থাকে, যা এর ভেতরের অংশকে নিয়ন্ত্রণ করে।


    🔹 নিউরন – স্নায়ুতন্ত্রের মূল ইউনিট

    নিউরন হল আমাদের মস্তিষ্ক ও স্নায়ুতন্ত্রের প্রধান কোষ, যা তথ্য বহন করে এবং আমাদের চিন্তা, অনুভূতি ও শরীরের প্রতিটি প্রতিক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করে।

    📌 নিউরনের প্রধান কাজ:

    তথ্য প্রেরণ: নিউরন বৈদ্যুতিক ও রাসায়নিক সংকেতের মাধ্যমে তথ্য আদান-প্রদান করে।
    পরিপ্রেক্ষিত বিশ্লেষণ: আমাদের চিন্তা, স্মৃতি এবং আবেগ নিয়ন্ত্রণ করে।
    পেশি ও অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ নিয়ন্ত্রণ: শরীরের প্রতিটি নড়াচড়া নিউরনের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রিত হয়।

    📌 বৈশিষ্ট্য:
    🔸 ডেনড্রাইট: সংকেত গ্রহণ করে।
    🔸 অ্যাক্সন: সংকেত প্রেরণ করে।
    🔸 সিন্যাপ্স: নিউরনের মধ্যে তথ্য আদান-প্রদানের স্থান।


    🔹 পেশি টিস্যু – শরীরের শক্তি ও নড়াচড়ার নিয়ন্ত্রক

    পেশি টিস্যু আমাদের শরীরের গঠন ও নড়াচড়া নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

    📌 পেশি টিস্যুর ধরণ ও কাজ:

    1️⃣ মসৃণ পেশি (Smooth Muscle):
    ✅ স্বতঃস্ফূর্তভাবে কাজ করে, যেমন হৃৎপিণ্ড ও পরিপাকতন্ত্র।
    ✅ রক্তনালী সংকুচিত ও প্রসারিত করতে সাহায্য করে।

    2️⃣ ঐচ্ছিক পেশি (Skeletal Muscle):
    ✅ আমাদের ইচ্ছানুযায়ী দেহের নড়াচড়া নিয়ন্ত্রণ করে।
    ✅ হাত-পা, মুখ, গলা ও চোখের নড়াচড়া নিয়ন্ত্রণ করে।

    3️⃣ হৃদপেশি (Cardiac Muscle):
    ✅ হৃৎপিণ্ড গঠিত হয় এবং এটি অবিরাম স্পন্দিত হয়
    ✅ হৃদপিণ্ড থেকে রক্ত পাম্পিংয়ের কাজ করে।

    📌 বিশেষ বৈশিষ্ট্য: পেশি টিস্যু আমাদের শরীরের শক্তি উৎপাদন ও সংরক্ষণে সহায়তা করে এবং ব্যায়াম বা পরিশ্রম করলে আরও শক্তিশালী হয়।


    🔹 কোষ প্রাচীর – উদ্ভিদের রক্ষাকবচ

    কোষ প্রাচীর শুধুমাত্র উদ্ভিদ, ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাকে পাওয়া যায়। এটি কোষের বাহ্যিক শক্ত স্তর, যা কোষকে রক্ষা করে।

    📌 কোষ প্রাচীরের প্রধান কাজ:

    কোষকে শক্তি ও কাঠামো প্রদান করে।
    অতিরিক্ত পানি প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করে।
    পরিবেশগত প্রতিকূলতা থেকে রক্ষা করে।
    কোষের বৃদ্ধি ও বিভাজনে সাহায্য করে।

    📌 উপাদান: উদ্ভিদ কোষের কোষ প্রাচীর সেলুলোজ দিয়ে তৈরি, যা শক্তিশালী এবং রক্ষণশীল।

    প্রত্যেকটি জীবন্ত কোষ তার বিভিন্ন অঙ্গাণুর উপর নির্ভরশীল। মাইটোকন্ড্রিয়া শক্তি উৎপাদন করে, প্লাস্টিড খাদ্য প্রস্তুত করে, নিউক্লিয়াস সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করে, নিউরন তথ্য আদান-প্রদান করে, পেশি টিস্যু দেহের নড়াচড়া নিয়ন্ত্রণ করে, আর কোষ প্রাচীর কোষকে রক্ষা করে।

    📢 প্রত্যেকটি উপাদানই জীবনের জন্য অপরিহার্য এবং একে অপরের সঙ্গে সমন্বিতভাবে কাজ করে!




    🔬 মাইটোকন্ড্রিয়া, প্লাস্টিড, নিউক্লিয়াস, নিউরন, পেশি টিস্যু ও কোষ প্রাচীরের গুরুত্ব

    প্রাণীকোষ ও উদ্ভিদকোষ বিভিন্ন অঙ্গাণুর মাধ্যমে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে। এই অঙ্গাণুগুলোর প্রত্যেকটির আলাদা গুরুত্ব রয়েছে। এখানে মাইটোকন্ড্রিয়া, প্লাস্টিড, নিউক্লিয়াস, নিউরন, পেশি টিস্যু এবং কোষ প্রাচীরের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা বিস্তারিত তুলে ধরা হলো।


    🔹 মাইটোকন্ড্রিয়া – কোষের শক্তিকেন্দ্র

    মাইটোকন্ড্রিয়াকে "Powerhouse of the Cell" বলা হয়, কারণ এটি কোষের জন্য শক্তি উৎপাদন করে।

    📌 গুরুত্ব:

    শক্তি উৎপাদন: মাইটোকন্ড্রিয়া খাদ্য উপাদান (গ্লুকোজ) থেকে অ্যাডেনোসিন ট্রাইফসফেট (ATP) তৈরি করে, যা কোষের যাবতীয় কাজের জন্য প্রয়োজন।
    কোষীয় শ্বসন: অক্সিজেন ব্যবহার করে গ্লুকোজ ভেঙে শক্তি উৎপাদন করে।
    কোষ বিভাজন ও বৃদ্ধি: নতুন কোষ তৈরির প্রক্রিয়ায় অংশ নেয়।
    অপেক্ষাকৃত স্বাধীন অঙ্গাণু: এতে নিজস্ব ডিএনএ থাকে, যার ফলে এটি নিজেই বিভাজিত হতে পারে।
    নিউরন ও পেশির জন্য গুরুত্বপূর্ণ: স্নায়ু কোষ ও পেশি কোষে প্রচুর মাইটোকন্ড্রিয়া থাকে, কারণ এগুলো বেশি শক্তি ব্যবহার করে।

    📌 উদাহরণ: হৃদপিণ্ড ও যকৃৎ কোষে প্রচুর মাইটোকন্ড্রিয়া থাকে, কারণ এগুলো সারাক্ষণ কাজ করে।


    🔹 প্লাস্টিড – উদ্ভিদকোষের খাদ্য প্রস্তুতকারী কেন্দ্র

    শুধুমাত্র উদ্ভিদ ও শৈবালে প্লাস্টিড পাওয়া যায়। এটি উদ্ভিদের সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়া চালায় এবং বিভিন্ন রঞ্জক ধারণ করে।

    📌 গুরুত্ব:

    সালোকসংশ্লেষণ: ক্লোরোপ্লাস্টে উপস্থিত ক্লোরোফিল সূর্যালোক শোষণ করে এবং সেই শক্তি ব্যবহার করে খাদ্য উৎপাদন করে।
    অক্সিজেন উৎপাদন: সালোকসংশ্লেষণের মাধ্যমে পরিবেশে অক্সিজেন সরবরাহ করে, যা প্রাণীদের শ্বাসপ্রশ্বাসের জন্য অপরিহার্য।
    ফল ও ফুলের রঙ: ক্রোমোপ্লাস্টে থাকা রঞ্জক পদার্থ ফুল ও ফলের রঙ প্রদান করে, যা পরাগায়ন ও বীজ বিস্তারে সাহায্য করে।
    পুষ্টি সংরক্ষণ: লিউকোপ্লাস্ট শর্করা, তেল ও প্রোটিন সংরক্ষণ করে।

    📌 উদাহরণ: পাতা, শৈবাল, গাজর, টমেটো ইত্যাদিতে প্লাস্টিডের বিভিন্ন প্রকার উপস্থিত থাকে।


    🔹 নিউক্লিয়াস – কোষের নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র

    নিউক্লিয়াস কোষের বুদ্ধিবৃত্তিক কেন্দ্র, যা এর সকল কার্যক্রম পরিচালনা করে।

    📌 গুরুত্ব:

    জিন সংরক্ষণ: এতে ডিএনএ থাকে, যা জীবের বংশগত বৈশিষ্ট্য নিয়ন্ত্রণ করে।
    কোষ বিভাজন ও বৃদ্ধি: কোষ বিভাজনের (মাইটোসিস ও মিয়োসিস) মাধ্যমে নতুন কোষ তৈরি করতে সাহায্য করে।
    প্রোটিন সংশ্লেষণ: নিউক্লিয়াস থেকে আরএনএ উৎপন্ন হয়, যা প্রোটিন সংশ্লেষণে ভূমিকা রাখে।
    বহু কোষীয় জীবের সমন্বয়: বিভিন্ন কোষের কার্যক্রম সমন্বিতভাবে পরিচালনা করে।

    📌 উদাহরণ: মানুষের চুল, ত্বক, যকৃৎ এবং অন্যান্য সকল কোষের নিউক্লিয়াস রয়েছে, তবে ব্যাকটেরিয়ায় এটি অনুপস্থিত।


    🔹 নিউরন – স্নায়ুতন্ত্রের তথ্য বাহক

    নিউরন হল আমাদের স্নায়ুতন্ত্রের প্রধান কোষ, যা তথ্য আদান-প্রদান করে।

    📌 গুরুত্ব:

    তথ্য প্রেরণ: নিউরন বৈদ্যুতিক ও রাসায়নিক সংকেতের মাধ্যমে শরীরের প্রতিটি অংশের সাথে মস্তিষ্কের সংযোগ স্থাপন করে।
    মস্তিষ্কের কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ: চিন্তা, স্মৃতি, অনুভূতি এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য দায়ী।
    পেশি নিয়ন্ত্রণ: আমাদের শরীরের স্বেচ্ছাচারী (হাত-পা নড়ানো) এবং স্বতঃস্ফূর্ত (হৃদস্পন্দন) গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করে।
    রিফ্লেক্স ক্রিয়া: বিপদের সময় দ্রুত প্রতিক্রিয়া দেখানোর জন্য দায়িত্বশীল।

    📌 উদাহরণ: স্পর্শ করলে হাত সরিয়ে নেওয়া, কথা বলা, হাঁটা ও দৌড়ানোর জন্য নিউরন গুরুত্বপূর্ণ।


    🔹 পেশি টিস্যু – নড়াচড়া ও শক্তির উৎস

    পেশি টিস্যু শরীরের নড়াচড়া ও শক্তি উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

    📌 গুরুত্ব:

    শরীরের গঠন ও নড়াচড়া: দেহের স্বেচ্ছাচারী এবং অনৈচ্ছিক চলন নিয়ন্ত্রণ করে।
    শক্তি সংরক্ষণ: খাদ্য থেকে শক্তি গ্রহণ করে এবং প্রয়োজনে তা ব্যবহার করে।
    অভ্যন্তরীণ অঙ্গ নিয়ন্ত্রণ: হৃদপিণ্ডের স্পন্দন, শ্বাসপ্রশ্বাস এবং পরিপাকক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করে।

    📌 উদাহরণ: হৃদপেশি, হাত-পায়ের পেশি, পাকস্থলীর মসৃণ পেশি।


    🔹 কোষ প্রাচীর – উদ্ভিদের প্রতিরক্ষাব্যবস্থা

    কেবলমাত্র উদ্ভিদকোষ, ব্যাকটেরিয়া এবং ছত্রাকের কোষে কোষ প্রাচীর পাওয়া যায়, যা তাদের সুরক্ষা ও কাঠামোগত শক্তি প্রদান করে।

    📌 গুরুত্ব:

    কোষকে সুরক্ষা প্রদান: এটি কোষের বাহ্যিক ক্ষতি প্রতিরোধ করে।
    গঠন ও দৃঢ়তা প্রদান: উদ্ভিদকে খাড়া থাকতে সহায়তা করে।
    জলীয় ভারসাম্য নিয়ন্ত্রণ: কোষের পানি প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করে, যাতে কোষ সঠিকভাবে কাজ করতে পারে।
    পরিবেশগত প্রতিকূলতা সহ্য করা: খরা, অতিরিক্ত লবণাক্ততা বা যান্ত্রিক চাপ থেকে সুরক্ষা প্রদান করে।

    📌 উদাহরণ: গাছের কান্ড, পাতা, ফল ও ফুলের কোষ প্রাচীর সেলুলোজ দিয়ে তৈরি হয়।

    জীববিজ্ঞানের এই গুরুত্বপূর্ণ উপাদানগুলো একে অপরের সাথে জৈবিক কার্যক্রমে সংযুক্ত। মাইটোকন্ড্রিয়া শক্তি উৎপাদন করে, প্লাস্টিড উদ্ভিদের খাদ্য তৈরি করে, নিউক্লিয়াস কোষকে নিয়ন্ত্রণ করে, নিউরন তথ্য বহন করে, পেশি টিস্যু দেহের নড়াচড়া নিয়ন্ত্রণ করে এবং কোষ প্রাচীর উদ্ভিদকোষকে সুরক্ষা দেয়।

    প্রত্যেকটি অঙ্গাণুই জীবনের জন্য অপরিহার্য এবং একে অপরের ওপর নির্ভরশীল!



    Welftion Love Of Welfare
     দৈনিক অনুসন্ধান

    Welftion Love Of Welfare : প্রিয় সুহৃদ,  নতুন প্রজন্মের আগ্রহী লেখকদের প্রতি অনুরোধ, আমাদের কাছে লেখা পাঠিয়ে দুই সপ্তাহ থেকে তিন মাস অপেক্ষা করুন। একই লেখা একাধিক জায়গায় পাঠানো হলে কিংবা প্রকাশিত হলে আমরা সেই লেখককে আর গ্রহণ না করতে বাধ্য হবো। আপনার লেখা / ছবি / মতামত / অভিযোগ পাঠান ~ ✉ towfiqsultan.help@gmail.com ,
    editorial.tds@outlook.com , editorial.tdse@gmail.com 
    দৈনিক অনুসন্ধান শেরে বাংলা নগর, ঢাকা, বাংলাদেশ



     📢 দৃষ্টি আকর্ষণ লেখা পাঠান~ ✉ editorial.tds@outlook.com , editorial.tdse@gmail.com towfiqsultan.help@gmail.com
    DA





      DA
    লেখা পাঠান~ ✉ editorial.tds@outlook.com , editorial.tdse@gmail.com towfiqsultan.help@gmail.com 
     
    আপনার লেখা / ছবি / মতামত / অভিযোগ পাঠান ~ ✉ towfiqsultan.help@gmail.com , editorial.tds@outlook.com , editorial.tdse@gmail.com দৈনিক অনুসন্ধান শেরে বাংলা নগর, ঢাকা, বাংলাদেশ। সংবাদ দৈনিক অনুসন্ধান - ওয়েল্ফশন নিউজ আপডেট - Welftion Welfare Educational Leaders Friendly Trusted Investigation Organization Network. সত্যের সন্ধানে বলিষ্ঠ, সত্য প্রকাশে নির্ভীক... নবীন- প্রবীন লেখীয়োদের প্রতি আহ্বান: সাহিত্য সুহৃদ মানুষের কাছে ছড়া, কবিতা, গল্প, ছোট গল্প, রম্য রচনা সহ সাহিত্য নির্ভর আপনার যেকোন লেখা পৌঁছে দিতে আমাদেরকে ই-মেইল করুন- editorial.tdse@gmail.com লেখার সাথে আপনার নাম ঠিকানা, যোগাযোগ নাম্বার যুক্ত করে দিয়েন- সম্ভব হলে নিজের ছবি + লেখার সাথে মানানসই ছবি। ইংরেজি লেখা পাঠাতে ও এই ই-মেইল টি ব্যাবহার করতে পারেন। ✉️ই-মেইল: editorial.tdse@gmail.com - ধন্যবাদ 📧 towfiqsultan.help@gmail.com

    সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

    ষষ্ঠ অধ্যায়: জীবে পরিবহন

    ষষ্ঠ অধ্যায়: জীবে পরিবহন

    Welftion Education DESK 



    ষষ্ঠ অধ্যায়: জীবে পরিবহন

    জীববিজ্ঞান 

    ১. কাদের রক্তে লোহিত রক্তকণিকার পরিমাণ বেশি?
    উত্তর: শিশুদের রক্তে লোহিত রক্তকণিকার পরিমাণ বেশি।

    ২. টিউনিকা ইন্টারনা কী দিয়ে তৈরি?
    উত্তর: এটি সরল আবরণী কলা (Simple Squamous Epithelium) দিয়ে তৈরি।

    1. ক্যালোজ প্রভাবিত করে কোনটিকে?
      উত্তর: এটি খাদ্য চলাচল প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করে।

    2. শ্বেত রক্তকণিকা কোন প্রক্রিয়ায় জীবাণুকে ধ্বংস করে?
      উত্তর: শ্বেত রক্তকণিকার ফ্যাগোসাইটোসিস (Phagocytosis) প্রক্রিয়ার মাধ্যমে জীবাণু ধ্বংস হয়।

    3. রক্তের B গ্রুপবিশিষ্ট ব্যক্তি কোন গ্রুপ থেকে রক্ত গ্রহণ করতে পারে?
      উত্তর: B ও O গ্রুপ থেকে রক্ত গ্রহণ করতে পারে।

    4. প্রোটোপ্লাজমে পানির পরিমাণ শতকরা কত?
      উত্তর: প্রায় ৯০%

    5. রক্ত জমাট বাঁধতে কোন ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ প্রয়োজন?
      উত্তর: ভিটামিন Kক্যালসিয়াম (Ca) রক্ত জমাট বাঁধতে সহায়তা করে।

    6. লেন্টিসেল কোথায় সৃষ্টি হয়?
      উত্তর: এটি কান্ডের বাকলে (Bark) সৃষ্টি হয়।

    7. টিউনিকা মিডিয়া কী দিয়ে তৈরি?
      উত্তর: এটি বৃত্তাকার অনৈচ্ছিক পেশি (Circular Smooth Muscle) দিয়ে তৈরি।

    8. মধুতে আঙুল ডুবিয়ে রাখলে কী হবে?
      উত্তর: এতে বহিঃঅভিস্রবণ (Exosmosis) ঘটে।

    9. জীবাণু ভক্ষণ করে কোন শ্বেত রক্তকণিকা?
      উত্তর: নিউট্রোফিল (Neutrophil) জীবাণু ভক্ষণ করে।

    10. ক্যালোজ জমা হয় কোথায়?
      উত্তর: সিভ প্লেটে (Sieve Plate)।

    11. রক্তে রক্তরসের (Plasma) পরিমাণ কত?
      উত্তর: রক্তের ৫৫% হলো রক্তরস।

    12. প্রস্বেদনের বাহ্যিক প্রভাবক কী?
      উত্তর: আপেক্ষিক আর্দ্রতা (Relative Humidity)।

    13. অনুচক্রিকার গড় আয়ু কত দিন?
      উত্তর: ৫ থেকে ১০ দিন।

    14. কোন রক্তকণিকা হেপারিন (Heparin) নিঃসরণ করে?
      উত্তর: বেসোফিল (Basophil)।

    15. মূল দ্বারা উত্তোলিত পানির সর্বশেষ গন্তব্য কোথায়?
      উত্তর: মেসোফিল টিস্যু (Mesophyll Tissue)।

    16. প্রস্বেদনের বাহ্যিক প্রভাবক কী কী?
      উত্তর: তাপমাত্রা (Temperature), আলো (Light)।

    17. ফুসফুসের আবরণকে কী বলা হয়?
      উত্তর: প্লুরা (Pleura)।

    18. শ্বাসনালির অভ্যন্তরে প্রদাহকে কী বলে?
      উত্তর: ব্রঙ্কাইটিস (Bronchitis)।

    19. উচ্চ রক্তচাপ সৃষ্টিতে কোনটি ভূমিকা রাখে?
      উত্তর: লো ডেনসিটি লাইপোপ্রোটিন (Low-Density Lipoprotein - LDL)।

    20. বাম ফুসফুস কয় ভাগে বিভক্ত?
      উত্তর: ২ ভাগে।

    21. উদ্ভিদ ও প্রাণী উভয়ের সাধারণ বৈশিষ্ট্য কী?
      উত্তর: উভয়েই শ্বসনতন্ত্রের মাধ্যমে গ্যাসীয় বিনিময় ঘটায়।

    22. কোন রোগটি ঋতু পরিবর্তনের সময় বেড়ে যায়?
      উত্তর: অ্যাজমা (Asthma)।

    23. ফুসফুসের বায়ুথলি কী দ্বারা পরিবেষ্টিত থাকে?
      উত্তর: কৈশিক নালিকা (Capillary Tube)।

    24. মানবদেহে মোট কতটি নেফ্রন থাকে?
      উত্তর: প্রায় ২০-২৪ লক্ষ।

    25. বৃক্কের (Kidney) রং কেমন?
      উত্তর: লালচে।

    26. কোন কোষের কার্যকারিতার জন্য কোলেস্টেরল প্রয়োজন?
      উত্তর: স্নায়ুকোষ (Neuron)।

    27. রক্ত কণিকার ক্যান্সারকে কী বলা হয়?
      উত্তর: লিউকেমিয়া (Leukemia)।

    28. ক্যালোজ প্রভাবিত করে কোনটিকে?
      উত্তর: খাদ্য চলাচল।

    29. পাতায় খাদ্য জমা করে রাখে কোন উদ্ভিদ?
      উত্তর: ঘৃতকুমারী (Aloe Vera)।

    30. কোনটি হৃদপিণ্ডের আবরণ?
      উত্তর: পেরিকার্ডিয়াম (Pericardium)।

    ফারজানা (দশম শ্রেণির - শিক্ষার্থী) ~ ঘাগটিয়া চালা মডেল হাইস্কুল, কাপাসিয়া,গাজীপুর। 

    শুক্রবার, ২১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

    পঞ্চম অধ্যায় খাদ্য, পুষ্টি এবং পরিপাক

    পঞ্চম অধ্যায় খাদ্য, পুষ্টি এবং পরিপাক

     


    পঞ্চম অধ্যায় : খাদ্য, পুষ্টি এবং পরিপাক

    ক্র. প্রশ্ন উত্তর
    রাফেজ বা খাদ্য আঁশ কী? শস্যদানার বহিরাবরণ, সবজি, ফলের খোসা, বীজ এবং উদ্ভিদের ডাটা, ফল, মূল, পাতায় উপস্থিত আঁশ বা তন্তুর ন্যায় অপাচ্য অংশই হলো রাফেজ।
    আত্তীকরণ কী? শোষিত খাদ্যবস্তুর প্রোটোপ্লাজমে পরিণত বা রূপান্তরিত করার পদ্ধতিকে আত্তীকরণ বলে।
    ভিসাল বা ভিলাই কী? ক্ষুদ্রান্তের অন্তঃপ্রাচীরে আঙুলের মতো প্রক্ষেপিত অংশ থাকে, এদের ভিসাল বলে।
    পরিপাক কী? যে জৈব রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় মানুষের পৌষ্টিক নালির অভ্যন্তরে জটিল, অদ্রবণীয় খাদ্য উপাদানগুলো নির্দিষ্ট উৎসেচক বা এনজাইমের মাধ্যমে বিশ্লেষিত হয়ে সরল উপাদানে পরিণত হয়, তাকে পরিপাক বলে।
    মৌল বিপাক শক্তি কী? বিশ্রাম অবস্থায় বাহ্যিক অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ কাজ না করলেও শ্বাস-প্রশ্বাস ও পেশিগুলোর সংকোচন-প্রসারণের ফলে শক্তি ব্যয় হয়। এ শক্তিকে মৌল বিপাক শক্তি বলে।
    ক্লোরোসিস কী? নাইট্রোজেন, ম্যাগনেসিয়াম, লৌহ, সালফার প্রভৃতি পুষ্টি উপাদানের অভাবে উদ্ভিদের পাতা হলুদ হয়ে যায়, এই প্রক্রিয়াকে ক্লোরোসিস বলে।
    মানুষের কতটি পেষণ দাঁত থাকে? ৮ টি।
    কোন খাদ্য দেহের ক্ষয়পূরণ ও বৃদ্ধি সাধন করে? শুটকি মাছ।
    খাদ্য পরিপাক হয়ে কোথায় শোষিত হয়? অন্ত্রের গাত্রে।
    ১০ কোনটিতে বহু শকর্রা পাওয়া যায়? গমে।

    ফারজানা (দশম শ্রেণি) শিক্ষার্থী - ঘাগটিয়া চালা মডেল হাইস্কুল