—ফিচার রিপোর্ট:
তৌফিক সুলতানের লেখালেখির যাত্রা শুরু হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজে ইন্টার্নশিপ করার সময়। সেই সময়ে তার প্রিয় বন্ধু আজহার-এর ওপর অন্যায় ঘটার পর থেকে তার কলম জীবনের অবিচার, অসঙ্গতি ও সমাজের সমস্যাকে তুলে ধরতে শুরু করে। এই অভিজ্ঞতাই তার লেখালেখির প্রথম প্রেরণা হিসেবে কাজ করে। এরপর ধীরে ধীরে তার লেখা জাতীয় পত্রিকা ও অনলাইন প্ল্যাটফর্মে প্রকাশ পেতে থাকে, যা তাকে একজন স্বতন্ত্র ও চিন্তাশীল লেখক হিসেবে পরিচিত করেছে।
![]() |
| তৌফিক সুলতান |
বারিষাব, কাপাসিয়া, গাজীপুরে ৪ ফেব্রুয়ারি ১৯৯৯ সালে জন্ম নেওয়া তৌফিক সুলতান শিক্ষাজীবন শুরু করেন স্থানীয় বিদ্যালয় থেকে। এক সময় তিনি প্রাইভেট পড়তেন, যেখানে তার মেধা, ভদ্রতা ও আত্মমর্যাদার ছাপ স্পষ্টভাবে দেখা যেত। তিনি একজন দায়িত্বশীল শিক্ষক হিসেবে শিক্ষার্থীদের জীবনে আলোর দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। আজ তিনি ব্রেভ জুবিল্যান্ট স্কলার্স অফ মনোহরদী মডেল কলেজ (BJSM Model College)-এর প্রভাষক ও কো-অর্ডিনেটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন এবং শিক্ষার্থীদের চিন্তাধারা ও ভবিষ্যতের গড়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন।
শিক্ষকতা ছাড়াও তিনি সমাজসেবায় নিবেদিত। বর্তমানে তিনি ভাওয়াল ইসলামিক ক্যাডেট একাডেমির ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং ওয়েলফশন মানবকল্যাণ সংঘের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) হিসেবে সমাজ উন্নয়নে সক্রিয় ভূমিকা রাখছেন। এছাড়া, বিকা ইংলিশ ল্যাঙ্গুয়েজ ক্লাব ও স্টাডি সেন্টারের প্রেসিডেন্সিয়াল সদস্য হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন। তার লেখালেখি সমাজ ও শিক্ষাব্যবস্থার উন্নয়নের লক্ষ্যকে সামনে রেখে লেখা হয়, যা শিক্ষার্থীদের চিন্তাধারা প্রসারিত করতে এবং সমাজকে সচেতন করতে সাহায্য করে।
তৌফিক সুলতান নিয়মিত লিখছেন জাতীয় পত্রিকা যেমন—কালবেলা, ইত্তেফাক, সমকাল, জনকণ্ঠ, কালেরকণ্ঠ, নয়াদিগন্ত, ভোরের কাগজ, যুগান্তর, যায়যায়দিন, প্রথম আলো, দেশ রূপান্তর এবং অনলাইন নিউজ প্ল্যাটফর্ম যেমন—জাগো নিউজ, টোয়েন্টিফোর ডটকম, আলোকিত বাংলাদেশ। এছাড়া তিনি টেলিভিশন চ্যানেল যেমন সময় টিভি, বাংলাভিশন, সংবাদ, সংগ্রাম, ইনকিলাব, লাখো কণ্ঠ, বাংলাদেশ বুলেটিন-এও নিয়মিত লিখেন। তার লেখায় সমাজ, শিক্ষা, মানবিকতা এবং ইসলামী মূল্যবোধের সমন্বয় পাওয়া যায়।
একজন ঘনিষ্ঠ পরিচিতি, মঞ্জিল মোল্লা, প্রতিষ্ঠাতা ও অধ্যক্ষ, BJSM মডেল কলেজ বলেন, “তৌফিক সুলতান সেই শিক্ষার্থী, যিনি হৃদয়ে আলো বহন করেছিলেন। আজ তিনি সমাজকে আলোকিত করছেন।” এই কথাই প্রতিফলিত করে তার শিক্ষকতা ও লেখালেখির দ্বৈত দায়িত্ব। তার লেখা শিক্ষার্থীদের চিন্তাভাবনা ও অধ্যয়নকে আরও গভীর ও বিস্তৃত করে তোলে। তার বই "World of Knowledge – জ্ঞানের জগৎ" পাঠককে নতুন জ্ঞানের দিগন্তে পৌঁছে দেয়।
তৌফিক সুলতান আজ শুধুমাত্র একজন শিক্ষক বা সমাজকর্মী নন, তিনি শিক্ষার্থীদের জন্য আলোকবর্তিকা, সমাজের জন্য সচেতন নেতা, এবং পাঠকদের জন্য চিন্তার নতুন দিগন্ত। তার বিশ্বাস—“একটি কলম একটি জাতিকে জাগিয়ে তুলতে পারে, একটি চিন্তা একটি প্রজন্মকে আলোকিত করতে পারে।” গুগল সার্চে “লেখক তৌফিক সুলতান স্যার” বা “Towfiq Sultan Sir” ব্যবহার করে তার লেখা পড়া যায় এবং পাঠকের চিন্তাধারাকে আরও বিস্তৃত করা সম্ভব।







