জীবনযাপন লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
জীবনযাপন লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

শনিবার, ৯ আগস্ট, ২০২৫

জীবনের ব্যস্ততা যতই বাড়ুক না কেন, পুরনো বন্ধুদের সাথে দেখা করার সময় বের করা উচিত।

জীবনের ব্যস্ততা যতই বাড়ুক না কেন, পুরনো বন্ধুদের সাথে দেখা করার সময় বের করা উচিত।

পুরনো বন্ধুদের মিলনমেলা ২০১৫ ব্যাচের মনোহরদী ভ্রমণ ও স্মৃতিচারণ

বন্ধুত্ব এমন এক অনুভূতি, যা সময়ের ব্যবধান, দূরত্ব কিংবা জীবনের ব্যস্ততা সত্ত্বেও হৃদয়ে অটুট থেকে যায়। ২০১৫ সালের এসএসসি ব্যাচের বন্ধুরা যখন দীর্ঘদিন পর আবার একত্রিত হয়, তখন সেটি শুধু একটি দেখা-সাক্ষাৎ নয়—এটি হয়ে ওঠে স্মৃতি, নস্টালজিয়া আর আনন্দের এক অনন্য মিলনমেলা।


আশিক, তামিম, রাকিব, সোহান, তানভীর ও তৌফিক সুলতান —বন্ধুত্বের ছবিতে বাঁধা এক মুহূর্ত"
আশিক, তামিম, রাকিব, সোহান, তানভীর ও তৌফিক সুলতান —বন্ধুত্বের ছবিতে বাঁধা এক মুহূর্ত"


আজকের দিনটা আমার জন্য শুরু হয়েছিল অনেক ব্যস্ততার মধ্য দিয়ে। দুপুরের দিকে হঠাৎ ফোন এলো আমার প্রিয় বন্ধু তানভীরের কাছ থেকে—
"আমরা মনোহরদী আসছি, তুই আসবি তো?"
এমন ডাকে সাড়া না দেওয়া অসম্ভব। কারণ তানভীর আমার সবচেয়ে কাছের বন্ধুদের একজন।

তানভীরের সঙ্গে ছিল আশিক, তামিম, রাকিব ও সোহান—সবাই আমার স্কুলের সহপাঠী। মনে পড়ে গেল সেই সময়ের কথা—এসএসসি পরীক্ষার পর ভর্তি মৌসুমে আমরা আলাদা পথে পা বাড়িয়েছিলাম। আশিক, তামিম, সোহান ও তানভীর ভর্তি হয়েছিল আবদুল কাদির মোল্লা সিটি কলেজে, রাকিব চলে গিয়েছিল একটি প্রাইভেট কলেজে, আর আমি ভর্তি হয়েছিলাম এম এ মজিদ সায়েন্স কলেজে।

"এম এ মজিদ সায়েন্স কলেজের প্রাঙ্গণে ২০১৫ ব্যাচের ছয় বন্ধু—দীর্ঘদিন পর মিলিত হয়ে স্মৃতিচারণে মেতে ওঠা।"


আজকের ছবিগুলো তোলা হয়েছে এম এ মজিদ সায়েন্স কলেজের সামনেই। সেখানে দাঁড়িয়ে আমরা স্মৃতির সোনালি পাতাগুলো উল্টে দেখছিলাম—স্কুল জীবনের খেলাধুলা, পরীক্ষার আগে হুড়োহুড়ি করে পড়া, বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, কলেজ জীবনের আড্ডা আর নানা গল্পে ভরা দিনগুলো।

দীর্ঘ সময় আমরা কেবল স্মৃতি রোমন্থন করিনি, বরং একে অপরের বর্তমান জীবন নিয়েও কথা বলেছি। যাদের সাথে আজ দেখা হলো, তারা এখন জীবনের ভিন্ন ভিন্ন পর্যায়ে প্রতিষ্ঠিত—কেউ শিক্ষক, কেউ ডাক্তার, কেউ আবার বিসিএস ক্যাডার হওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে।


পুরনো বন্ধুদের মিলনমেলা ২০১৫ ব্যাচের মনোহরদী ভ্রমণ ও স্মৃতিচারণ
পুরনো বন্ধুদের মিলনমেলা ২০১৫ ব্যাচের  ভ্রমণ ও স্মৃতিচারণ


এর কয়েকদিন আগেই আমরা গিয়েছিলাম ক্যাফে শীতল হাওয়ায়—মনোহরদীর পাশেই কাপাসিয়ার খিরাটিতে অবস্থিত মনোরম এক ক্যাফে। পাশেই রয়েছে গোল্ডেন ক্যাফে। যদিও সেই দিনের ছবি তোলা হয়নি, তবুও সেই সময় কাটানো মুহূর্তগুলো মনকে ভরে দিয়েছিল।

আজকের আড্ডা শেষে আমরা মোটরসাইকেল নিয়ে ঘুরে বেড়িয়েছি মনোহরদীর আশপাশে—হাতিরদিয়া, ছোট সুকুন্ধীসহ আশেপাশের সুন্দর সুন্দর গ্রামীণ জনপদে। সবুজ মাঠ, সর্পিল গ্রামীণ রাস্তা, পুকুরপাড়ের শীতল হাওয়া—সব মিলিয়ে এই ভ্রমণ যেন আমাদের তারুণ্যের দিনগুলোকে ফিরিয়ে দিল।


"স্কুল থেকে আজকের দিন—অটুট বন্ধুত্বের ছয়জন


বন্ধুত্বের সৌন্দর্য হলো, এর জন্য কোনো বড় আয়োজন প্রয়োজন হয় না। কয়েকজন প্রিয় মানুষ, কিছু আন্তরিক আলাপ আর কিছু স্মৃতির আলো—এগুলোই যথেষ্ট একটি দিনকে বিশেষ করে তুলতে।

 জীবনের ব্যস্ততা যতই বাড়ুক না কেন, পুরনো বন্ধুদের সাথে দেখা করার সময় বের করা উচিত। কারণ এমন মুহূর্তগুলোই আমাদের জীবনে নতুন উদ্যম, আনন্দ আর অনুপ্রেরণা এনে দেয়।



×






সময় থেমে ছিল এক বিকেল – মনোহরদীতে ২০১৫ ব্যাচের ছয় বন্ধুর পুনর্মিলনী

বন্ধুত্বের বাঁধন সময় বা দূরত্বে ম্লান হয় না—বরং জীবনের অভিজ্ঞতা ও সাফল্যের সঙ্গে সঙ্গে তা হয়ে ওঠে আরও গভীর। ব্যস্ত জীবনের নানা চাপের মধ্যেও স্কুলজীবনের বন্ধুরা যখন একত্র হয়, তখন সেই মুহূর্তে যেন সময় থমকে দাঁড়ায়। ২০১৫ সালের এক ব্যাচের ছয় বন্ধু দীর্ঘদিন পর মিলিত হলেন মনোহরদীতে, আর সেই দেখা হয়ে উঠল হাসি, গল্প, বৃষ্টি আর ভ্রমণের এক রঙিন কোলাজ।

দিনটি শুরু হয়েছিল ব্যস্ততার মধ্য দিয়ে। লেখক তখন নানা কাজে নিমগ্ন, এমন সময় আসে ফোন—ওপারে বন্ধু তানভীর, কণ্ঠে উচ্ছ্বাস, “আমরা মনোহরদী আসছি!” তানভীর শুধু একজন বন্ধু নয়, বরং অন্যতম কাছের মানুষ। খবর পেয়ে লেখক আর দেরি করেননি; তাড়াতাড়ি দেখা করতে যান। সেখানে অপেক্ষা করছিল আরও চার পুরনো সঙ্গী—আশিক, তামিম, রাকিব, সোহান। ছয়জন মিলে যেন আবার ফিরে গেলেন সেই স্কুল জীবনের দিনে, যখন প্রতিদিনের শুরু আর শেষ ছিল একসাথে কাটানো হাসি-আনন্দে।

এসএসসি পরীক্ষার পর জীবনের পথ আলাদা হয়ে গিয়েছিল। আশিক, তামিম, সোহান ও তানভীর ভর্তি হয়েছিল আবদুল কাদির মোল্লা সিটি কলেজে। রাকিব ভর্তি হয় একটি প্রাইভেট কলেজে, আর লেখক ভর্তি হন এম এ মজিদ সায়েন্স কলেজে। সময়ের স্রোতে একে অপরের সঙ্গে দেখা কমে গিয়েছিল, কিন্তু মনে মনে সবাই জানত—এই বন্ধুত্ব অটুট।

পুনর্মিলনের স্থান হিসেবে বেছে নেওয়া হয় এম এ মজিদ সায়েন্স কলেজের প্রাঙ্গণ। পরিচিত গেট, সবুজ মাঠ আর পুরনো ভবন দেখে মনে পড়ে যাচ্ছিল অনেক অজানা-অচেনা স্মৃতি। এখানে দাঁড়িয়ে তারা ক্যামেরাবন্দি হলেন, ঠিক সেই জায়গাতেই যেখানে একসময় স্বপ্ন আঁকা হতো ভবিষ্যতের। গল্প শুরু হয় স্কুল জীবনের দুষ্টুমি, প্রথম ক্লাসের ভয়, পরীক্ষার প্রস্তুতির চাপ, হোস্টেল জীবনের মজার ঘটনা থেকে। কেউ বলছিল কীভাবে রাত জেগে পড়াশোনা করত, কেউ আবার শেয়ার করছিল পড়ার চেয়ে বেশি সময় কিভাবে আড্ডায় কাটত—সব গল্পে ভেসে উঠছিল কিশোর বয়সের সরল হাসি।

এখন সবাই জীবনের ভিন্ন পথে এগিয়ে গেছে। কেউ শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন, কেউ ডাক্তার হয়ে মানুষের সেবা দিচ্ছেন, কেউ আবার বিসিএস ক্যাডার হওয়ার স্বপ্নে প্রস্তুত হচ্ছেন। জীবনের দায়িত্ব যতই বেড়ে যাক, আজকের দিনে তারা সবাই ছিল নিছকই বন্ধু—কোনো পদবি বা পরিচয়ের বোঝা ছাড়াই।

আড্ডার একপর্যায়ে সিদ্ধান্ত হলো আশপাশের সুন্দর জায়গাগুলো ঘুরে দেখা হবে। মোটরসাইকেলে ছয়জন বেরিয়ে পড়লেন মনোহরদীর আশপাশের গ্রামীণ সৌন্দর্য দেখতে। তারা ঘুরে দেখলেন হাতিরদিয়া, ছোট সুকুন্ধীসহ বেশ কিছু মনোরম স্থান। এর আগে তারা গিয়েছিলেন কাপাসিয়ার খিরাটির জনপ্রিয় আড্ডাস্থল ‘ক্যাফে শীতল হাওয়া’-তে, যার পাশেই রয়েছে ‘গোল্ডেন ক্যাফে’। যদিও সেখানে তোলা কোনো ছবি নেই, তবে স্মৃতিতে সেই সময়টুকু অমলিন হয়ে থাকবে।

কলেজে ফেরার কিছুক্ষণ পরই শুরু হয় এক টানা বৃষ্টি। গাছের পাতায়, মাটিতে আর ছাদের টিনে বৃষ্টির টুপটাপ শব্দ যেন অতীতের সুর বাজাচ্ছিল। সবাই বৃষ্টির শব্দে ডুবে গেলেন স্মৃতিচারণে—হোস্টেল জীবনের মজার মুহূর্ত, পরীক্ষার আগে গোপন টেনশন, পড়াশোনার গুরুত্ব, আর না পড়ার আফসোস নিয়ে চলল দীর্ঘ আলাপ। হাসি-ঠাট্টার মাঝেই উঠে আসছিল জীবন থেকে পাওয়া শিক্ষার কথা—যে শিক্ষা বইয়ের পাতায় নয়, বরং অভিজ্ঞতার ভেতর থেকে আসে।

দিনের শেষ বিকেলে তারা আবারও দাঁড়ালেন কলেজ ভবনের সিঁড়িতে। সূর্য অস্ত যাচ্ছিল, আকাশে জমে থাকা বৃষ্টির মেঘে তৈরি হচ্ছিল অপূর্ব দৃশ্য। সেদিন তোলা ছবিগুলোই হবে তাদের এই পুনর্মিলনের চিরকালীন স্মারক—যেখানে বন্ধুত্বের অটুট বন্ধন আর তারুণ্যের স্মৃতি বন্দি হয়ে থাকবে। সময় হয়তো দ্রুত বয়ে যাবে, কিন্তু মনোহরদীর সেই বিকেল, সেই বৃষ্টি, সেই আড্ডা আর ছয় বন্ধুর অদম্য হাসি কখনোই হারিয়ে যাবে না।



Welftion Love Of Welfare
 দৈনিক অনুসন্ধান

Welftion Love Of Welfare : প্রিয় সুহৃদ,  নতুন প্রজন্মের আগ্রহী লেখকদের প্রতি অনুরোধ, আমাদের কাছে লেখা পাঠিয়ে দুই সপ্তাহ থেকে তিন মাস অপেক্ষা করুন। একই লেখা একাধিক জায়গায় পাঠানো হলে কিংবা প্রকাশিত হলে আমরা সেই লেখককে আর গ্রহণ না করতে বাধ্য হবো। আপনার লেখা / ছবি / মতামত / অভিযোগ পাঠান ~ ✉ towfiqsultan.help@gmail.com ,
editorial.tds@outlook.com , editorial.tdse@gmail.com 
দৈনিক অনুসন্ধান শেরে বাংলা নগর, ঢাকা, বাংলাদেশ



 📢 দৃষ্টি আকর্ষণ লেখা পাঠান~ ✉ editorial.tds@outlook.com , editorial.tdse@gmail.com towfiqsultan.help@gmail.com
DA





  DA
লেখা পাঠান~ ✉ editorial.tds@outlook.com , editorial.tdse@gmail.com towfiqsultan.help@gmail.com 
 
আপনার লেখা / ছবি / মতামত / অভিযোগ পাঠান ~ ✉ towfiqsultan.help@gmail.com , editorial.tds@outlook.com , editorial.tdse@gmail.com দৈনিক অনুসন্ধান শেরে বাংলা নগর, ঢাকা, বাংলাদেশ। সংবাদ দৈনিক অনুসন্ধান - ওয়েল্ফশন নিউজ আপডেট - Welftion Welfare Educational Leaders Friendly Trusted Investigation Organization Network. সত্যের সন্ধানে বলিষ্ঠ, সত্য প্রকাশে নির্ভীক... নবীন- প্রবীন লেখীয়োদের প্রতি আহ্বান: সাহিত্য সুহৃদ মানুষের কাছে ছড়া, কবিতা, গল্প, ছোট গল্প, রম্য রচনা সহ সাহিত্য নির্ভর আপনার যেকোন লেখা পৌঁছে দিতে আমাদেরকে ই-মেইল করুন- editorial.tdse@gmail.com লেখার সাথে আপনার নাম ঠিকানা, যোগাযোগ নাম্বার যুক্ত করে দিয়েন- সম্ভব হলে নিজের ছবি + লেখার সাথে মানানসই ছবি। ইংরেজি লেখা পাঠাতে ও এই ই-মেইল টি ব্যাবহার করতে পারেন। ✉️ই-মেইল: editorial.tdse@gmail.com - ধন্যবাদ 📧 towfiqsultan.help@gmail.com

সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

বিনোদন জীবনের স্বাদ ও প্রশান্তি

বিনোদন জীবনের স্বাদ ও প্রশান্তি

 


বিনোদন জীবনের স্বাদ ও প্রশান্তি

বিনোদন মানুষের জীবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটি যেমন আমাদের মনকে প্রফুল্ল করে, তেমনি মানসিক চাপ ও ক্লান্তি দূর করতেও সাহায্য করে। সঠিক ও সুস্থ বিনোদন জীবনের গতি বাড়ায় এবং সৃজনশীলতাকে বিকশিত করে।

বিনোদনের ধরন ও গুরুত্ব

বিনোদন হতে পারে বিভিন্ন রকমের—সংস্কৃতি, ক্রীড়া, ভ্রমণ, সাহিত্য, সংগীত কিংবা প্রযুক্তি নির্ভর ডিজিটাল বিনোদন।

১. সাংস্কৃতিক বিনোদন: নাটক, সিনেমা, সংগীত ও নৃত্যের মাধ্যমে মানুষ ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির সাথে পরিচিত হয়।
২. ক্রীড়া ও শারীরিক বিনোদন: খেলাধুলা যেমন শারীরিক সুস্থতা বাড়ায়, তেমনি মানসিক শক্তি ও প্রতিযোগিতার মনোভাব গড়ে তোলে।
৩. ভ্রমণ ও প্রকৃতির সাথে সংযোগ: নতুন নতুন জায়গা দেখা এবং প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করা মানসিক প্রশান্তি এনে দেয়।
৪. সাহিত্য ও পাঠাভ্যাস: গল্প, কবিতা, উপন্যাস বা অন্যান্য গ্রন্থ পাঠ করা বিনোদনের পাশাপাশি জ্ঞানের দরজাও খুলে দেয়।
৫. ডিজিটাল বিনোদন: বর্তমান যুগে অনলাইন স্ট্রিমিং, ভিডিও গেমস, সোশ্যাল মিডিয়া ও পডকাস্ট বিনোদনের নতুন মাধ্যম হয়ে উঠেছে।

সুস্থ ও সঠিক বিনোদনের প্রয়োজনীয়তা

বিনোদন অবশ্যই হতে হবে ইতিবাচক ও স্বাস্থ্যকর। অপ্রয়োজনীয় বা অতিরিক্ত বিনোদন যেন আমাদের মূল কাজ বা দায়িত্ব থেকে দূরে সরিয়ে না দেয়। সঠিক বিনোদন আমাদের মনকে প্রফুল্ল রাখে, জীবনের প্রতি ভালোবাসা বাড়ায় এবং কাজের উত্সাহ জোগায়।


বিনোদন কেবল সময় কাটানোর মাধ্যম নয়, বরং এটি মানসিক প্রশান্তি ও সৃজনশীলতার বিকাশ ঘটায়। তাই সঠিক বিনোদনের মাধ্যমে জীবনকে আরও সুন্দর ও পরিপূর্ণ করে তোলা উচিত।

রবিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

সময় যত কমে আসছে, পরীক্ষার্থীদের মধ্যে উৎকণ্ঠা ততই বাড়ছে।

সময় যত কমে আসছে, পরীক্ষার্থীদের মধ্যে উৎকণ্ঠা ততই বাড়ছে।

 

এসএসসি ২০২৫: শেষ মুহূর্তে গণিত পরীক্ষার পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতি
ওয়েল্ফশন নিউজ আপডেট অনলাইন ডেস্ক

গণিত পরীক্ষার সময় ঘনিয়ে এসেছে! সময় যত কমে আসছে, পরীক্ষার্থীদের মধ্যে উৎকণ্ঠা ততই বাড়ছে। অনেকেই ভাবছেন, "শেষ মুহূর্তে কীভাবে পড়ব? কোন অধ্যায়গুলোর উপর বেশি ফোকাস দেব? পরীক্ষার হলে সময় কীভাবে ব্যবস্থাপনা করব?" এই প্রতিবেদনটিতে থাকছে শেষ মুহূর্তের চূড়ান্ত প্রস্তুতির কার্যকরী কৌশল, যা এসএসসি ২০২৫-এর গণিত পরীক্ষায় আপনাকে আত্মবিশ্বাসী হতে সাহায্য করবে।


✅ ১. শেষ মুহূর্তে কীভাবে প্রস্তুতি নেবেন?

শেষ মুহূর্তে নতুন অধ্যায় শেখার চেষ্টা না করে, বরং যা পড়েছেন, সেটাই ঝালিয়ে নিন

📌 গুরুত্বপূর্ণ টপিকের সংক্ষিপ্ত নোট তৈরি করুন:

  • বীজগণিত: লগারিদম, সূত্র নির্ণয়, বহুপদী ও নির্ণায়ক
  • জ্যামিতি: উপপাদ্য ও রচনাগুলো বারবার অনুশীলন করুন
  • ত্রিকোণমিতি: কোণের সম্পর্ক ও সূত্রগুলো ভালোভাবে মুখস্থ করুন
  • সমীকরণ: দ্বিঘাত সমীকরণ, অসমতা ও সূচকীয় সমীকরণ
  • পরিসংখ্যান: গড়, মধ্যক ও প্রচুরক গণনার শর্টকাট পদ্ধতি শিখুন
  • বহুপদী ও অন্তরীকরণ: সূত্রগুলো ভালোভাবে আত্মস্থ করুন

📌 বিগত বছরের প্রশ্ন অনুশীলন করুন:

  • কমপক্ষে ৫-১০ বছরের প্রশ্নপত্র সমাধান করুন
  • বারবার আসা প্রশ্নগুলোর দিকে নজর দিন
  • বোর্ড প্রশ্নের ধরণ বুঝে নিন

📌 সময়সূচী তৈরি করুন:

  • গণিতের জন্য প্রতিদিন নির্দিষ্ট ২-৩ ঘণ্টা সময় দিন
  • সকালে সূত্র ও সূত্রভিত্তিক সমস্যা অনুশীলন করুন।
  • রাতে জ্যামিতি ও উপপাদ্য চর্চা করুন

✅ ২. সময় বাঁচাতে শর্টকাট কৌশল

পরীক্ষার হলে দ্রুত এবং নির্ভুলভাবে উত্তর দেওয়ার জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ কৌশল মেনে চলুন:

📌 সূত্র মুখস্থ করার সহজ উপায়:

  • সূত্র মনে রাখতে "ফ্ল্যাশকার্ড" তৈরি করুন
  • গণিতের কঠিন সূত্রগুলোকে ছোট ছোট বাক্যে সাজিয়ে মুখস্থ করুন

📌 গাণিতিক সমস্যা সমাধানের শর্টকাট:

  • সময় বাঁচাতে অনুশীলন করতে হবে বারবার
  • MCQ-তে বিকল্প উত্তর যাচাই করুন—সময় বাঁচবে।
  • নির্ভুলভাবে গাণিতিক হিসাব করুন—ক্যালকুলেশন ভুল হলে সব নম্বরই হারাবেন!

✅ ৩. পরীক্ষার হলে কীভাবে সময় ব্যবস্থাপনা করবেন?

পরীক্ষার হলে সময় ভাগ করে উত্তর লিখলে ভালো নম্বর পাওয়া সহজ হবে

📌 প্রথম ৫ মিনিট: প্রশ্নপত্র ভালোভাবে পড়ে নিন এবং সহজ প্রশ্নগুলো চিহ্নিত করুন।
📌 MCQ-তে ৩০ মিনিট: সময় নষ্ট না করে দ্রুত উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করুন।
📌 ব্যাখ্যামূলক প্রশ্নের জন্য ১.৫ ঘণ্টা: প্রথমে সহজ প্রশ্ন, পরে কঠিন প্রশ্ন লিখুন।
📌 শেষ ১৫ মিনিট: উত্তরপত্র পুনরায় যাচাই করুন, ভুল সংশোধন করুন।


✅ ৪. গণিতে ভালো নম্বর পাওয়ার কিছু টিপস

📌 ধাপে ধাপে উত্তর দিন: শুধু উত্তর দিলেই নম্বর পাবেন না, সমাধান প্রক্রিয়াও গুরুত্বপূর্ণ।
📌 জ্যামিতিতে পরিস্কার ডায়াগ্রাম আঁকুন: সঠিক চিত্র না আঁকলেও নম্বর কাটা যাবে।
📌 অঙ্কের শেষে উত্তরের একক লিখতে ভুলবেন না: অনেক সময় শুধুমাত্র একক না থাকায় নম্বর কেটে যায়!
📌 হাতের লেখা পরিষ্কার রাখুন: গুলিয়ে ফেলা বা অস্পষ্ট লেখার কারণে নম্বর কমে যেতে পারে।


✅ ৫. শেষ মুহূর্তের চেকলিস্ট

✅ গুরুত্বপূর্ণ সূত্রগুলো আরেকবার দেখে নিন।
✅ বিগত বছরের প্রশ্ন থেকে গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় ঝালিয়ে নিন।
✅ MCQ-তে সময় নষ্ট করবেন না, সহজভাবে উত্তর দিন।
✅ পরীক্ষার হলে আতঙ্কিত না হয়ে শান্ত থাকুন এবং মনোযোগ ধরে রাখুন
✅ আত্মবিশ্বাস রাখুন—আপনি ভালো করতে পারবেন! 💪✨


 

গণিত পরীক্ষাকে ভয় পাওয়ার কিছু নেই, বরং স্মার্ট প্রস্তুতি নিলে ভালো ফল নিশ্চিত করা সম্ভব। পরিকল্পনা করে পড়লে ও সময় ব্যবস্থাপনা করলে আপনি নিশ্চিতভাবেই পরীক্ষায় ভালো করতে পারবেন।

🎯 সব পরীক্ষার্থীদের জন্য রইল শুভকামনা! 💯✨

📢 আপনার মতামত দিন!
আপনি শেষ মুহূর্তে গণিত পরীক্ষার জন্য কীভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছেন? কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না!


(ওয়েল্ফশন নিউজ আপডেটের অনলাইন ডেস্ক) 📰✨

এলবাম - ৮

এলবাম - ৮

 





































































































লেখক তৌফিক সুলতান স্যার এর লেখা সমূহ ||Writer Taufiq Sultan Sir's writings || Writer Towfiq Sultan Sir's writings ||كتابات الكاتب توفيق سلطان سير ||作家陶菲克·苏丹先生的著作 ||作家 Towfiq Sultan Sir の著作 ||Écrits de l'écrivain Towfiq Sultan Sir ||Yazar Towfiq Sultan Sir'in yazıları ||लेखक तौफीक सुल्तान सर की रचनाएँ || Al Towfiqi, Welftion CEO, আল তৌফিকী পরিবার, হাউজ অফ আল তৌফিকী, ওয়েল্ফশন নগরী,Welftion CEO,House Of Al Towfiqi, News,খবর,সংবাদ, লেখক, কবি,লেখা
Towfiq Sultan || তৌফিক সুলতান