হাসির গল্প, অশ্রুর শোক
যার জন্য হাসতে চেয়েছিলাম আমি,
সে এসে দিলো অশ্রু, রেখে গেলো ক্ষত-দ্বার।
চোখ ভরা সুর, হাসির মাঝে বেদনা,
তারপর সে চলে গেলো, বুক ভরা শূন্যতা।
প্রেমের রঙে আঁকা ছিলো এক স্বপ্ন,
কিন্তু সেই স্বপ্নের মধ্যে পিঠে ব্যথার ছাপ।
দুঃখ, বিষাদে মুছে গেলো সব আলো,
হাসির মূহূর্তে নিঃশব্দে বেদনাময় যন্ত্রণা।
বিরহের পথে হাঁটতে শুরু করলাম একা,
তার বিদায়ে হারিয়ে গেলো মনের আশা।
অশ্রু দিয়ে পরিপূর্ণ চোখ, তবুও,
তার ভালোবাসায় মিশে থাকা শূন্যতাতে যেন সিঁদুর।
যার জন্য হৃদয়ে আনন্দ ছিল,
সে এখন বেদনা আর স্মৃতির একটি বন্ধন।
হাসি সঙ্গী ছিল, কিন্তু অশ্রু হয়ে গেলো সঙ্গী,
সে চলে গেলো, আমার মন ভরা এক অভিমানের বিক্ষিপ্ত পিপাসা।
অদৃশ্য ভালোবাসা
আমি আপনাকে ছেড়ে যাবো না কোনো দিন,
আপনার ভালোবাসায় মিশে থাকে চিরদিন।
এ সম্পর্কের নাম না থাকলেও, হৃদয়ে বাস,
ভালবাসার রঙে রাঙানো আমার জীবন-রাস।
প্রেমের ছায়ায় বয়ে যায় অজানা সুর,
তবুও এক অদৃশ্য বাঁধনে বন্ধী এক খুর।
যতই দূরে যাই, আপনিই রয়ো কাছে,
হৃদয়ের গভীরে চিরকাল তোমার স্মৃতি রাখি সাঁঝে।
বিরহের কষ্ট তবু জানে সে মানে,
তবে ভালোবাসার আলো ছড়িয়ে যায় জীবন-ধারে।
কিছু না বললেও হৃদয় বলে, তুমিই আমার সঙ্গী,
তুমি ছাড়া এই জীবন এক নির্দিষ্ট পথের ভাঙা ঢাল।
দর্শন মেলে চোখে, তবে তবুও অনুভূতি চিরকাল,
ভালোবাসা থাকে অক্ষয়, সে যেন থাকে এক অনুভবের ফল।
আমার হৃদয়ে তুমি থাকো অমলিন,
সাথে আছি, আমি তোমার, আর তুমি চিরকাল আমার ভালোবাসা বিন।
নামহীন সম্পর্ক
কিছু সম্পর্কের কোন নাম হয় না,
তবু মনে থাকে সেসব স্মৃতির ছোঁয়া।
বিভ্রান্তি আর দৃষ্টি মিলিয়ে দেয় পথ,
যতটা কাছে, ততটাই হয় দূরত্বের শোক।
মায়ায় ভরা এক নিঃশব্দ প্রহর,
ভালবাসা, কখনো থাকে, কখনো হারায় সে মধুর।
চুপচাপ জানে দু'জন, হৃদয় গোপনে চায়,
কিন্তু মুখে কখনো সে কথা আসে না বায়।
এভাবে সম্পর্কগুলো থাকে রহস্যময়,
যতটুকু চাই, ততটুকু দূরে চলে যায়।
নাম না হলেও, হৃদয়ে গাঁথা থাকে,
এক বন্ধন—যেটা কখনো প্রকাশ হয় না, তবু ভালোবাসা থেকে যায়।
বিরহের মাঝে স্বপ্নে ভেসে যাই,
কিন্তু মনের গহীনে তুমি আছো এক পায়ের ছায়া।
এ সম্পর্কের নাম নেই, তবুও সে মায়া,
যা প্রতিদিন হৃদয়কে ছুঁয়ে যায়, সেও এক অদৃশ্য আভা।
যার জন্য হাসতে চেয়েছিলাম আমি,
সে এসে দিলো অশ্রু, রেখে গেলো ক্ষত-দ্বার।
চোখ ভরা সুর, হাসির মাঝে বেদনা,
তারপর সে চলে গেলো, বুক ভরা শূন্যতা।
প্রেমের রঙে আঁকা ছিলো এক স্বপ্ন,
কিন্তু সেই স্বপ্নের মধ্যে পিঠে ব্যথার ছাপ।
দুঃখ, বিষাদে মুছে গেলো সব আলো,
হাসির মূহূর্তে নিঃশব্দে বেদনাময় যন্ত্রণা।
বিরহের পথে হাঁটতে শুরু করলাম একা,
তার বিদায়ে হারিয়ে গেলো মনের আশা।
অশ্রু দিয়ে পরিপূর্ণ চোখ, তবুও,
তার ভালোবাসায় মিশে থাকা শূন্যতাতে যেন সিঁদুর।
যার জন্য হৃদয়ে আনন্দ ছিল,
সে এখন বেদনা আর স্মৃতির একটি বন্ধন।
হাসি সঙ্গী ছিল, কিন্তু অশ্রু হয়ে গেলো সঙ্গী,
সে চলে গেলো, আমার মন ভরা এক অভিমানের বিক্ষিপ্ত পিপাসা।
অদৃশ্য ভালোবাসা
আমি আপনাকে ছেড়ে যাবো না কোনো দিন,
আপনার ভালোবাসায় মিশে থাকে চিরদিন।
এ সম্পর্কের নাম না থাকলেও, হৃদয়ে বাস,
ভালবাসার রঙে রাঙানো আমার জীবন-রাস।
প্রেমের ছায়ায় বয়ে যায় অজানা সুর,
তবুও এক অদৃশ্য বাঁধনে বন্ধী এক খুর।
যতই দূরে যাই, আপনিই রয়ো কাছে,
হৃদয়ের গভীরে চিরকাল তোমার স্মৃতি রাখি সাঁঝে।
বিরহের কষ্ট তবু জানে সে মানে,
তবে ভালোবাসার আলো ছড়িয়ে যায় জীবন-ধারে।
কিছু না বললেও হৃদয় বলে, তুমিই আমার সঙ্গী,
তুমি ছাড়া এই জীবন এক নির্দিষ্ট পথের ভাঙা ঢাল।
দর্শন মেলে চোখে, তবে তবুও অনুভূতি চিরকাল,
ভালোবাসা থাকে অক্ষয়, সে যেন থাকে এক অনুভবের ফল।
আমার হৃদয়ে তুমি থাকো অমলিন,
সাথে আছি, আমি তোমার, আর তুমি চিরকাল আমার ভালোবাসা বিন।
নামহীন সম্পর্ক
কিছু সম্পর্কের কোন নাম হয় না,
তবু মনে থাকে সেসব স্মৃতির ছোঁয়া।
বিভ্রান্তি আর দৃষ্টি মিলিয়ে দেয় পথ,
যতটা কাছে, ততটাই হয় দূরত্বের শোক।
মায়ায় ভরা এক নিঃশব্দ প্রহর,
ভালবাসা, কখনো থাকে, কখনো হারায় সে মধুর।
চুপচাপ জানে দু'জন, হৃদয় গোপনে চায়,
কিন্তু মুখে কখনো সে কথা আসে না বায়।
এভাবে সম্পর্কগুলো থাকে রহস্যময়,
যতটুকু চাই, ততটুকু দূরে চলে যায়।
নাম না হলেও, হৃদয়ে গাঁথা থাকে,
এক বন্ধন—যেটা কখনো প্রকাশ হয় না, তবু ভালোবাসা থেকে যায়।
বিরহের মাঝে স্বপ্নে ভেসে যাই,
কিন্তু মনের গহীনে তুমি আছো এক পায়ের ছায়া।
এ সম্পর্কের নাম নেই, তবুও সে মায়া,
যা প্রতিদিন হৃদয়কে ছুঁয়ে যায়, সেও এক অদৃশ্য আভা।
ধ্বংসবতী
ঐ মায়া টা ই আমার ধ্বংসের কারণ,
এ যেন মনের গভীরে এক নীরব আঘাতের খোঁজ।
তুমি এলে, হৃদয়ে বসিয়ে দিলে আশা,
কিন্তু তোমার চলে যাওয়া, রেখে গেলো শুধু দুঃখের কথা।
প্রেমের রাজ্যে ছিলাম সোনালী এক স্বপ্নে,
কিন্তু সেও বুঝি ছিল এক কল্পনার ছলনা।
দূরত্বের মাঝে জড়ালো আমার দেহ মন,
তুমি চলে গেলে, হৃদয়ে রয়ে গেলো শুধুই কান্নার রন।
বিরহের কাঁটায় বিঁধে গেছে স্বপ্নের পাখি,
তবু তোমার স্মৃতিতে বেঁচে থাকি, আবার নিঃশব্দ দৃষ্টি।
হৃদয়ের শূন্যতা তবুও তুমি পূর্ণ করে যেতে,
কিন্তু তোমার মায়ায় আমি নিজেকে হারিয়ে ফেলি, হে ধ্বংসবতী।
দর্শন মিলে যায় দুঃখের সঙ্গী,
তবুও প্রেমের পথে হাঁটতে চায় সঙ্গী।
এই যে পিপাসা, এই যে তৃষ্ণা,
তুমি চলে গেলে, রয়ে গেলো শুধুই স্মৃতির রাত্রি-ছায়া।
প্রেমের আলো
এখন রাত, চাঁদের আলোর খেলা,
হৃদয়ের গহীনে প্রেমের হাওয়া বেলা।
কিছু না বললেও বুঝি সব কথাই,
মন বলে যায়, তুমি পাশে থাকলে, দুঃখ কোথায়?
বিরহে ছড়িয়ে যায় যে মনখারাপ,
তুমি না থাকলে মনে পড়ে কষ্টের মাপ।
দূরত্ব মুছতে একসাথে থাকার রঙ,
অন্তর মিলে যায়, সঙ্গী হতে চায় জীবন।
প্রেম যে নীরব ভাষায় কথা বলে,
বিন্দু-বিন্দু করে, হৃদয়ের মণি খোলে।
বিরহে মেঘের ছায়া, মাঝে মাঝে হাসি,
দর্শনে সুখের আভা, দুঃখ শূন্য, নীড় পাসি।
আমার হৃদয়ের আঙিনায় চিরকাল তুমি,
এই কবিতার পঙক্তিতে রয়ে যাবে তুমি।
প্রেমের আলোয় যত কথা বলি,
দূরত্বের রেখা মুছে যাওয়া, একি জলি।
অভিমানী এক পঙ্ক্তিমালা
(ছন্দ: ১২ মাত্রা, অন্তমিল: কখকখ)
অপেক্ষায় ছিলাম আমি, আসোনি তুমি,
নীরব চোখে কেটেছে শত রাতভুমি।
মিস করেছিলাম, তুমি বুঝোনি কিছু,
মনটা ভেবেছিল আপন, পাওনি তার পিছু।
দুঃখের ভাগ চেয়েছিলাম একটুখানি,
তোমার হৃদয় তবু রইল নিরুত্তর, বাণীহীন।
তুমি রাগি—জানতাম, তাও সইতাম চুপে,
কিন্তু নিষ্ঠুর এমন, তা কে ভাবতে পারে রূপে?
ভালোবাসা দিয়েছিলাম নিঃস্বার্থ ধরণে,
পেয়েছি ফেলে যাওয়া স্মৃতি অমরণে।
আজও হৃদয়ে বাজে তোমার অবহেলা,
ভালো থেকো—এই অভিমানে রেখেছি খোলা মেলা।
অসীম কেন্দ্রীভ্রমণ
(ছন্দ: ১৪ মাত্রা, অন্তমিল: কখকখ)
আমারে ঘিরে কতজন গড়ে স্বপ্নবৃত্ত,
আলো ফেলে মুখপানে—চায় ভালোবাসার চুক্ত।
তবু আমি, অর্বাচীন, বেহায়ার মতো,
তারে ঘুরি অনর্গল—কেন জানি না তো।
যে নয় মোর কেন্দ্রবিন্দু, নয় মোর দৃষ্টি,
তারে ঘিরে বাঁচি, মরিও—ভুলের দৃষ্টি।
জানে না সে—এই অন্তঃশূন্য যাতনা কত,
জাগে না তার হৃদয়েও একটুও কষ্ট।
আমি তার ছায়া হয়ে থাকি অবিরত,
সে তো অন্য আলোয় ব্যস্ত, অন্য কারো চিত্ত।
প্রেমে আমি বৃন্তচ্যুত, পাঁপড়ির সম বিষাদ,
নিজেকেই হারাই আমি, তারে চিনে সাধ।
জীবন্ত শব
(ছন্দ: ১৪ মাত্রা, অন্তমিল: কখকখ)
সে আমায় বিদায় দেয় নি—দেয়নি শেষ বাণী,
শুধু নিঃশব্দে পরায়ে দিল শ্বেত কাফনের শাড়ি।
চোখে রেখে গেল এক মৃত প্রহরের ঘোর,
জীবন থেকে মুছে দিল সব আলোর মহার।
জিন্দা লাশ হয়ে ফিরি, কাতর জনপথে,
নীরবে ডাকি “দাফন দাও”—সাড়া পাইনা তাতে।
হৃদয় তো মৃত, তবু বুক ভরে বিষণ্ণ শ্বাস,
তুমি ছাড়া সবই শূন্য, দুঃখ শুধু পাশ।
না ছিলো জানাজা, না ছিলো চোখের পানি,
ভালোবাসা করেও কি এমন হয় অবহানি?
সে যায়নি দূরে—থেকেও নেই, এ এক অভিশাপ,
প্রেমে মরে গেছি আমি, নেই শুধু কবরের চাপ।
তুমি কে আমার জীবনে?
(ছন্দ: ১২ মাত্রা, অন্তমিল: কখকখ)
যদি জানতে চাও, তুমি কে আমার প্রাণে,
বলবো—তুমি নাম এক মোনাজাতের টানে।
যে নাম বললেই চোখ ভিজে নীরবে,
হাত উঠে দো’আয়, হৃদয় ডুবে রবে।
তুমি সেই প্রিয়তা, সুখে দুঃখে মিশে,
নাম নিলেই কাঁদে মন—ভালোবাসায় ভীষণ।
শুনছো মায়াবতী?
(ছন্দ: ১৪ মাত্রা, অন্তমিল: কখকখ)
শুনছো মায়াবতী? তুমি ছিলে এক ধারা,
জীবনের শ্রেষ্ঠ সময়, সুখের ব্যাখ্যারা।
তোমার সাথে কাটানো প্রতিটি সেই ক্ষণ,
ছিল এক অমূল্য রত্ন, হৃদয়ের আগমন।
তোমার হাসি, তোমার চোখ—স্বপ্নে মোড়ানো,
আজও মন হারায় তাতে, থেমে যাওয়া বর্ণ।
তুমি বিহীন জীবন যেন থেমে থাকা গান,
নিঃশব্দে কাঁদে সকাল, নিভে যায় সন্ধান।
তোমায় ছাড়া পৃথিবী মলিন এক ছবি,
তোমার ছায়া খুঁজি আমি, ভুলে যাই সবই।
আমার হয়ে থেকে যাও, দয়া করে প্রিয়,
তোমায় ছাড়া নেই কিছু—ভালোবাসা নিখুঁত ও নির্ভর এক দিও।
তুমি আমার অনুভব
(ছন্দ: ১৪ মাত্রা, অন্তমিল: কখকখ)
তুমি আমার মনে জাগা নীরব এক গান,
যার সুর বাজে ভোরবেলা, নিভে না সন্ধান।
তুমি সেই চিন্তার ঢেউ, গোপন ভালবাসা,
যাকে ছুঁয়ে যায় হৃদয়, রাখে গভীর আশা।
ভুলে থাকা যায় না তোমায়, যতই হোক দূর,
তুমি আমার নিঃশ্বাসে লেখা এক ছবি পুর।
তুমি সেই বিশুদ্ধ ভাব, মন ছুঁয়ে যায়,
অপরূপ এক স্পর্শ যেন, ভাষা খুঁজে পায়।
যেমন মেঘে ঢেকে থাকে রোদেলা বিকেল,
তেমনই তুমি আছো—নিরবে, অনন্ত খেল।
তোমায় ছাড়া ভাবি না কিছু, ভাবা চলে না,
তুমি আমার প্রাণের পৃষ্ঠা, শেষ হয় না ক’না।
যার সুর বাজে ভোরবেলা, নিভে না সন্ধান।
তুমি সেই চিন্তার ঢেউ, গোপন ভালবাসা,
যাকে ছুঁয়ে যায় হৃদয়, রাখে গভীর আশা।
ভুলে থাকা যায় না তোমায়, যতই হোক দূর,
তুমি আমার নিঃশ্বাসে লেখা এক ছবি পুর।
অপরূপ এক স্পর্শ যেন, ভাষা খুঁজে পায়।
যেমন মেঘে ঢেকে থাকে রোদেলা বিকেল,
তেমনই তুমি আছো—নিরবে, অনন্ত খেল।
তোমায় ছাড়া ভাবি না কিছু, ভাবা চলে না,
তুমি আমার প্রাণের পৃষ্ঠা, শেষ হয় না ক’না।
রাতের ইবাদতের স্বাদ
(চরণপ্রতি ১২ মাত্রা, চতুষ্পদী ছন্দ)
নিশীথের স্তব্ধতায় জাগে জ্ঞান দীপ্তি,
ইবাদতে ভরে যায় হৃদয়ের পূর্তি।
সিজদাহে গলে যায় গ্লানির পাহাড়,
নীরব এ আরশে খোলে রহমতের দ্বার।
চোখে জল, তসবিহে আলোকিত প্রাণ,
রাতের সে মোনাজাত করে অন্তর দান।
নিদ্রাহীন নয়ন, প্রার্থনায় শুদ্ধ,
তৌহিদের আলোয় হয় আত্মা প্রশান্ত।
নিঃশব্দ ভোরে যে জান্নাত চায়,
তার ইবাদতেই তো ফিরিশতা হায়।
দুনিয়ার কোলাহল দূরে থাকি রয়,
রাতের ইবাদতে যে শান্তি বহে স্রোতস্রয়।
নিশি নামল
নিশি নামল, তবু চোখে ঘুম নেই,
পড়ার খাতা যেনো পাহাড়ের ঢেই।
পদার্থের সূত্র, জীববিজ্ঞানের কোষ,
মন বলে, “এই তো বাঁচা বড় কষ্টের রোস!”
গণিতের অঙ্কে গুনে গুনে হই হই,
বীজগণিতে যেনো শূন্যের মাঝেই সই।
রসায়নের টেস্ট টিউবে রঙের খেলা,
আতঙ্কে কাঁপে বুক, মনে হয় ঢেলা।
ইতিহাসে রাজা, ভূগোলে মানচিত্র,
পরীক্ষার ভয়ে মাথায় বাজে চিত্রচিত্র!
ইংরেজির টেনস, বাংলার অলংকার,
সবই মুখস্থ, তবু মনে লাগে ভার।
পরিবার ঘুমায়, আমি পৃষ্ঠা উল্টাই,
পড়তে পড়তে রাত যেনো শুধু বাড়াই।
নিদ্রা কোথায়? চোখে কেবল স্বপ্নহীন ভয়,
হায় রে পরীক্ষার দিন! তুমি কেনো হয়?
তবু বলি নিজেকে, “তুই পারবি রে ভাই,
এই কষ্ট একদিন হবে স্বপ্নের ছায়া ছাই।
তোর কষ্টের রাতগুলো জ্বলবে দীপ্ত আলো,
ফলাফলে হাসবি তুই, বাজবে সাফল্যর তালো।”
ঘুম না এলেও ভয় নয়, পড়া চলুক ধীরে,
বিশ্বাস রাখ, তোর মেধা তুলনা ছাড়া নীরে।
ছন্দে ছন্দে বলি, মনটা করো ঠান্ডা,
সাফল্যের সিঁড়ি চড়ো, থেমো না এক ফোঁটা!
“পরীক্ষার রাত”
রাত পোহায় না, কাগজে শব্দের ছায়া,
ঘুম পলাতক—চোখে শুধু উদ্বেগের মায়া।
বইয়ের পাতায় পাতায় লিখা অশ্রুজল,
এই কি তবে শিক্ষার আসল দোল?
পদার্থে বল আছে, আমি তবু দুর্বল,
জীববিজ্ঞানের অঙ্গ কাঁদে, গলায় কেবল গল।
রসায়নে বিক্রিয়া, অন্তরে বিক্ষোভ,
আমি পড়ি, তবু ভিতরে বাজে হাহাকারের ধ্বনি নির্ভর সংলাপ।
গণিত বলবে—“সমাধান করো মনোযোগে”,
মন বলে—“ঘুমাও একটুখানি নিঃসঙ্গ স্রোতে”।
ভূগোলে সীমান্ত, ইতিহাসে রাজনীতি,
আমি শুধু ক্লান্তি খুঁজি—ভুলে থাকা সত্যিকথা অদৃশ্য দৃষ্টিতে।
ইংরেজি কবিতা মুখস্থ, কিন্তু আমার নিজের নেই গান,
বাংলা গল্পে মানবতা, আমার চেতনায় ব্যথার মান।
অঙ্কুর থেকে গাছ হয়, শিক্ষার মূল সেই বীজ,
তবু মুখস্থের জালে আমরা বন্দী, জীবনের সত্যি নেই কোনো ঠিক ঠিক ঠিক ঠিক..
তবু তুই হারিস না, আলোটা দূরে নয়,
এই কষ্টের রাতই একদিন দিবস হয়।
তুই পড়, তুই জাগ, তুই রুখে দাঁড়া বুকে,
সফলতা আসবে, সেদিন তুই হাসবি সুখে।
রাতের আরশ-নিমগ্ন রহমত
(ছন্দঃ ১২ মাত্রা চতুষ্পদী, অ-অ-অ-অ অন্ত্যমিল)
নিশীথে নিঃশব্দে নেমে আসে ছায়া,
দিগন্তে জ্যোৎস্না দেয় দয়াময় মায়া।
সপ্ত আকাশ ছেদে আরশের ধ্বনি,
প্রভু বলেন: "কে আছো, বলো মন খুলি?"
আমি তোমাদের গোপন বিষয় গুলো ঠিক জানি।
কে মাগো অনুগ্রহ, কে রহম চায়?
কে ক্ষমার জন্য কান্না ঢালায়?
কে চায় পথনির্দেশ, আলো নির্ঝর,
আমি তো আছি, শুধু ডাকো এবার।
আসমানের গগনে নেমে আসে দান,
ইবাদতের স্রোতে ঝরে গোনাহ পান।
তাহাজ্জুদের পলকে গলে হৃদয়,
জ্ঞান ও জিকিরে ঝরে করুণা বয়।
সৃষ্টিকুল ঘুমে, বান্দা জাগে যে,
তারই ডাকে আকাশ কেঁপে ওঠে।
আল্লাহর রহমত, অফুরান বারি,
ভোররাতে সে বান্দার হৃদয় হাড়ি।
নয়ন জলেশে যে চায় অন্তর নিঃস্ব,
তার দুঃখ মোছে প্রভুর পরশ।
রাত্রির ইবাদত নয় নিছক সাধ,
এ যেন জান্নাতের পথেরই বাঁধ।
তাফসীরের ছায়ায় শিক্ষণীয় বার্তা:
-
রাত্রির শেষ তৃতীয়াংশে দোয়া অতি কবুল হয়
-
আল্লাহ নিজে বান্দাকে ডাকেন — এ যেন চরম ভালোবাসার আহ্বান
-
এই সময়টা আত্মশুদ্ধি, ক্ষমা ও নৈকট্য অর্জনের সোনালি সুযোগ
0 coment rios: