রাতের পড়া: সোনালি সময়
পরীক্ষার্থীদের জন্য
রাতের নীরবতায় বাজে না হাঁকডাক,
চাঁদের আলোয় পড়ে বই, থাকে না বিভ্রান্ত।
শব্দ নেই, ক্লাস নেই, কারও তাড়া নাই,
এই সময়টাই পড়াশোনার, জানে যারা তারা শান্ত।
দিনভর কোলাহলে মন থাকে বিভাজিত,
রাতের পড়ায় হয় মনোযোগ নিবেদিত।
স্মৃতি শক্তি বাড়ে তখন, ভুলে যাই ক্লান্তি,
এক পৃষ্ঠায় থাকে যেন পুরো অধ্যায়ান্তি!
গণিতের সমীকরণ, বিজ্ঞানের নিয়ম,
রাতেই বুঝি, যখন চলে যায় ভ্রম।
ইংরেজি ব্যাকরণ কিংবা রচনার ছন্দ,
নিরবতায় শেখা হয় আরও সুগন্ধ।
রাত নয় অলসতা, নয় অলক্ষ্য সময়,
এটাই ভবিষ্যতের সোপান গড়ার অমায়।
ঘুমে নয় জীবন জয়, জেগে লেখো ভাগ্য,
পরিক্ষা যুদ্ধে রাতের পড়া—একটি শ্রেষ্ঠ বুদ্ধি!
তবে হবে যোগ্য।
তবে ঘুমাও ঠিকঠাক, শরীর দিও যত্ন,
৬-৭ ঘণ্টা ঘুমেই থাকে জ্ঞানের স্নিগ্ধ গন্ধ।
নামাজ, দোয়া, ইবাদত—সব রাখো ঠিক,
আল্লাহ যাঁর সাথে থাকে, তাঁর হয় না দুঃখের শিক!
রাত্রিকালীন পাঠের প্রশান্তি
রাত্রির নিসর্গে জ্যোৎস্না-স্নাত দীপ,
চিন্তার প্রসারে জাগে জ্ঞানস্নিপ।
নীরবের রেশে উদ্ভাসিত মন,
পাঠে নিপুণতা দেয় অবিচল ধন।
সময়ের সুবর্ণ, শান্ত অতন্দ্র,
চেতনার তীর্থে ভাসে বুদ্ধিবন্দ্র।
দিবসের ক্লেদে যে যা হারায়,
রাতের একাগ্রে তা ফিরে চায়।
ধ্বনিহীন ছায়া, প্রশান্ত প্রকৃতি,
চর্চায় প্রসারিত হয় বুদ্ধি-নীতি।
গণিতের সূত্র, সাহিত্যের ব্যাক,
রাত্রে হয় গাঁথা নিখুঁত পরাক।
বিদ্যাপাঠ মানে ত্যাগেরই সাধন,
রাত্রি সে বিপুল জ্ঞানের সাধ্বন।
তন্দ্রা নয় তখন, হোক আলোর দীপ্তি,
বুদ্ধির সমুদ্রে চলো ডুব দিতি।
তবে রেখো স্মরণ – শরীরও চায় বিশ্রাম,
নিয়মে থাকো, তবেই মিলবে সফলতারখাম।
ইবাদতের মোহে হৃদয় করো দীপ্ত,
আল্লাহর রহমে হয় ভবিষ্যৎ নির্মিত।
বৈশিষ্ট্য:
-
প্রতি চরণে ১২ মাত্রা
-
প্রতিটি স্তবকের ৪টি চরণ (চতুষ্পদী)
-
অ-অ-অ-অ অন্ত্যমিল
0 coment rios: