.png "ওয়েলফশন ডেস্ক"){kind=small}
by রাদারফোর্ডের পরমাণু মডেলকে "সৌর মডেল" বলা হয় কারণ এটি সৌরজগতের গঠন ও বিন্যাসের সঙ্গে অনেকটাই মিল রাখে।
🌞 সৌরজগত ও রাদারফোর্ডের মডেলের মিল
✅ কেন্দ্রীয় কণা:
- সৌরজগতে সূর্য কেন্দ্রে থাকে এবং এর চারপাশে গ্রহগুলো ঘুরতে থাকে।
- রাদারফোর্ডের মডেলে পরমাণুর কেন্দ্রে ধনাত্মক চার্জযুক্ত নিউক্লিয়াস থাকে, যার চারপাশে নেতিবাচক চার্জযুক্ত ইলেকট্রন কক্ষপথে ঘুরে।
✅ ঘূর্ণন ও আকর্ষণ:
- সৌরজগতে গ্রহগুলো সূর্যের অভিকর্ষ বলের কারণে তার চারপাশে ঘোরে।
- রাদারফোর্ডের মডেলে ইলেকট্রন নিউক্লিয়াসের আকর্ষণ বলের কারণে কক্ষপথে ঘোরে।
✅ খালি স্থান:
- সৌরজগতে সূর্যের চারপাশে বিশাল খালি স্থান থাকে।
- রাদারফোর্ডের পরীক্ষায় দেখা যায়, পরমাণুর অধিকাংশ স্থান ফাঁকা।
এই কারণেই রাদারফোর্ডের পরমাণু মডেলকে সৌরজগতের মডেলের সঙ্গে তুলনা করে "সৌর মডেল" বলা হয়।
রাদারফোর্ড পারমাণবিক মডেলকে "সৌর মডেল" বলা হয় কারণ এই মডেলটি সৌরজগতের গঠন বা কক্ষপথের সাদৃশ্যের উপর ভিত্তি করে তৈরি হয়েছিল। রাদারফোর্ড এই মডেলটি ১৯১১ সালে উপস্থাপন করেন, যা পারমাণবিক কাঠামো সম্পর্কে একটি নতুন দৃষ্টিভঙ্গি প্রদান করেছিল। সৌর মডেল নামকরণের কারণটি মূলত নিম্নলিখিত:
১. কেন্দ্রীয় পারমাণবিক নিউক্লিয়াস:
রাদারফোর্ডের মডেল অনুযায়ী, পারমাণু একটি কেন্দ্রীয় নিউক্লিয়াসের চারপাশে নেগেটিভ চার্জযুক্ত ইলেকট্রনগুলি কক্ষপথে অবস্থান করে। এটি সৌরজগতের সূর্যের চারপাশে গ্রহগুলির কক্ষপথে চলাচলের সাথে তুলনা করা যেতে পারে। সৌর মডেলের মতো, যেখানে সূর্য কেন্দ্রবিন্দুতে থাকে এবং গ্রহগুলি তার চারপাশে কক্ষপথে ঘোরে, রাদারফোর্ডের মডেলেও নিউক্লিয়াস কেন্দ্রে অবস্থান করে এবং ইলেকট্রনগুলি তার চারপাশে চলাচল করে।
২. ইলেকট্রনের কক্ষপথ:
রাদারফোর্ডের মডেলে, ইলেকট্রনগুলি নিউক্লিয়াসের চারপাশে নির্দিষ্ট কক্ষপথে ঘোরে, ঠিক যেমন গ্রহগুলি সূর্যের চারপাশে নির্দিষ্ট কক্ষপথে ঘোরে। এর ফলে, এটি সৌর মডেলের মতই একটি সাদৃশ্য সৃষ্টি করে, যেখানে গ্রহ এবং ইলেকট্রন উভয়ই কক্ষপথে ঘোরে এবং একটি কেন্দ্রীয় শক্তির (সূর্য বা নিউক্লিয়াস) দ্বারা পরিচালিত হয়।
৩. বৈদ্যুতিক মিথস্ক্রিয়া:
রাদারফোর্ডের মডেলে নিউক্লিয়াসের মধ্যে পজিটিভ চার্জ (প্রোটন) থাকে এবং ইলেকট্রনগুলির মধ্যে নেগেটিভ চার্জ থাকে। এই চার্জের বৈদ্যুতিক মিথস্ক্রিয়া তাদেরকে একে অপরকে আকর্ষণ করতে সাহায্য করে, যেমন সৌরজগতে সূর্য গ্রহগুলিকে আকর্ষণ করে তাদের কক্ষপথে রাখতে।
৪. পারমাণবিক মডেলের প্রাথমিক ত্রুটি:
যদিও রাদারফোর্ডের মডেল পারমাণু কাঠামো সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছিল, তার মডেলে কিছু ত্রুটি ছিল। মূল সমস্যা ছিল যে, ইলেকট্রন যদি নিউক্লিয়াসের চারপাশে কক্ষপথে ঘোরে, তাহলে তারা ক্রমাগত শক্তি হারাতে থাকবে এবং শেষমেষ নিউক্লিয়াসের দিকে পতিত হবে। তবে এই সমস্যা পরে বোর্ন মডেল (১৯১৩) দ্বারা সমাধান করা হয়েছিল।
রাদারফোর্ড পারমাণবিক মডেলকে "সৌর মডেল" বলা হয় কারণ তার মডেলের মধ্যে সৌরজগতের মতো একটি কেন্দ্রীয় নিউক্লিয়াস এবং চারপাশে ঘোরানো ইলেকট্রনগুলি ছিল, যা সৌর মডেলের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ। এটি পারমাণবু বিজ্ঞান এবং পদার্থবিজ্ঞানের ক্ষেত্রে একটি মাইলফলক ছিল এবং পরবর্তীতে অন্যান্য বিজ্ঞানী দ্বারা আরও উন্নত করা হয়।
0 coment rios: