সূরা আল-ফাতিহা: কুরআনের মহাসমুদ্রের দরযা
একটি তথ্যভিত্তিক ইনফোগ্রাফিক বিশ্লেষণ
📖 মৌলিক তথ্য
নাম: আল-ফাতিহা (আরম্ভের সূরা), উম্মুল কিতাব
অবস্থান: কুরআন মজিদের ১নং সূরা
আয়াত: ৭টি
নাযিলের সময়: মক্কী জীবনের প্রাথমিক পর্যায়
বিশেষত্ব: নামাজের প্রতিটি রাকআতে বাধ্যতামূলক
📜 শানে নুজুল
প্রথম ওহীর সূচনা: হযরত মুসা (আ.)-এর পর আল্লাহ তাআলা সরাসরি কোনো নবীর সাথে কথা বলেননি। হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর নবুয়ত লাভের মাধ্যমে এই সরাসরি কথোপকথনের ধারা আবার শুরু হয়।
এক সাহাবির দোয়া: রাসুল (সা.) বলেন, "ওই সত্তার শপথ! যার হাতে আমার প্রাণ, এ ধরনের সূরা তাওরাত, ইঞ্জিল, যাবুর কিংবা কুরআনেও নাযিল হয়নি।"
সূরা ফাতিহার গতিশীল গঠন
আয়াত ১-৪: আল্লাহর প্রতি বান্দার অবস্থান
সমস্ত প্রশংসা জগৎসমূহের প্রতিপালক আল্লাহর জন্য
তিনি অতি দয়াময়, অপরিমেয় করুণাধর
বিচার দিনের মালিক
আয়াত ৫-৭: বান্দার আল্লাহর কাছে প্রার্থনা
আমরা একান্তে তোমারই ইবাদত করি ও শুধু তোমারই নিকট সাহায্য চাই
আমাদেরকে সিরাতুল মুস্তাকিমের পথ দেখাও
উম্মুল কুরআন
কুরআনের মা বা সারসংক্ষেপ। সমগ্র কুরআনের মূল বিষয়বস্তু ধারণ করে।
আস-সাবউল মাসানি
বারবার পঠিত সাতটি আয়াত। নামাজে দিনে কমপক্ষে ১৭ বার এটি পাঠ করতে হয়।
আশ-শিফা
রোগমুক্তির মাধ্যম। রাসুল (সা.) বলেছেন, "সূরা ফাতিহা যেকোনো বিষের মহৌষধ।"
কেন নামাজে MUST?
এটি আল্লাহর সাথে বান্দার কথোপকথনের পরিপূর্ণ রূপ এবং কুরআনের সারমর্ম।


0 coment rios: